সিলেট নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে পুলিশের বাধায় বিএনপি সমাবেশ করতে পারেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেন্দ্র-ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ে শুক্রবার দুপুরে এ সমাবেশের ডাক দেয় সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি।
নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশ করতে বাধা দিলে পরে কোর্ট পয়েন্টে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয় বলে জানায় মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এরপর কোর্ট পয়েন্ট থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে দলটি।
তবে পুলিশ বলছে, রেজিস্ট্রারি মাঠে বিএনপির সমাবেশের অনুমতি ছিল না। তাদের ইনডোরে সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু অনুমতি ছাড়াই বিএনপি নেতাকর্মীরা শুক্রবার দুপুরে রেজিস্ট্রারি মাঠে জড়ো হন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধীনস্থ আদালত ও সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিং, আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে শুক্রবার দুপুরে রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম খান।
বিএনপি নেতারা জানান, বেলা তিনটার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা রেজিস্ট্রারি মাঠের দিকে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। রেজিস্ট্রারি মাঠের ফটক আটকে মাঠের ভেতরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। পরে কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় সমাবেশ করেন তারা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘আমাদের শান্তিপুর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। রেজিস্ট্রারি মাঠে আমাদের সমাবেশ করতে দেয়নি। তবে আমাদের এই আন্দোলকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। রেজিস্ট্রারি মাঠ পুলিশ দখল করলেও বাকী সিলেট বিএনপির দখলে।’
এরপর কোর্ট পয়েন্টে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সরকার বিএনপিকে ভয় পাচ্ছে। তাই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
‘এ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই বিএনপি এ সরকারের অধীনে সব নির্বাচন বর্জন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে।’
এ সময় বিএনপির সব নেতাকর্মীদের দলের নির্দেশনা মেনে নির্বাচন বর্জন করে আন্দোলনে শরীক হতে হবে বলে আহ্বান জানান তিনি।
তবে সমাবেশে বাধা দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে সিলেট মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সুদীপ দাস বলেন, ‘বিএনপিকে ইনডোরে সমাবেশ করতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু তারা তা না মেনে রেজিস্ট্রারি মাঠে জড়ো হয়। অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।’