চট্টগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার মামলায় স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই রায়ে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত তাকে এই দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডিত রিদোয়ানুল হক ওরফে সোহেল রানা কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার উত্তর নলবিলা এলাকার বাসিন্দা।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মুহাম্মদ শহীদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর বিকেলে সোহেল রানা নিজের পরকীয়ার জেরে স্ত্রী শানু আক্তারকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন। হত্যার পর সন্ধ্যায় মরদেহ বাসার বাথরুমের দরজায় লোহের পাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন। এসময় সোহেল রানা নিহতের ভগ্নিপতিকে ফোন করে জানায় শানু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এতে নিহতের পরিবারের লোকজন রাত সাড়ে আটটার দিকে নগরীর চান্দগাঁও থানার পশ্চিম মোহড়া এলাকার ভাড়া বাসায় গিয়ে বাহিরে তালাবদ্ধ অবস্থায় পান।
এরমধ্যে নিহতের প্রতিবেশী নুরজাহানকে বাসার চাবি দিয়ে পালিয়ে যান সোহেল। পরবর্তীতে নিহতের স্বজনরা নুরজাহানের কাছ থেকে চাবি নিয়ে বাসায় প্রবেশ করলে বাথরুমের সামনে অর্ধেক ঝুলন্ত অবস্থায় শানুর মরদেহ পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় পরদিন নিহতের ছোটভাই ইস্কান্দার বাদী হয়ে সোহেল রানাকে একমাত্র আসামি করে চান্দগাঁও থানায় একটা হত্যা মামলা করেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দীর্ঘতম বড়ুয়া বলেন, ‘এই মামলায় পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর ২০১৭ সালের ১৯ জুলাই একমাত্র আসামি সোহেল রানার বিচার শুরু হয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার আদালত মামলাটির রায় ঘোষণা করেন।’
রায় ঘোষণার সময় আসামি রিদোয়ানুল হক ওরফে সোহেল রানা আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।