দেশে জঙ্গি দমনে সাইবার পেট্রলিং জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। বুধবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে দু’দিনব্যাপী পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কোয়ার্টারলি কনফারেন্সের প্রথম দিনের প্রথম অধিবেশনে তিনি এই নির্দেশ দেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. মনজুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ পুলিশের অনেক সাফল্য রয়েছে। জঙ্গিরা তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। অনলাইনেও তারা সক্রিয়। জঙ্গি দমন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সাইবার পেট্রলিং জোরদার করতে হবে।
‘সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টার হিসেবে থানাকে গড়ে তুলতে হবে। থানায় জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘মাদকের সঙ্গে কোনো পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততা থাকলে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যকে কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে না।’
অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম জানুয়ারি-মার্চ কোয়ার্টারের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যথা ডাকতি, খুন, ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন, জঙ্গি, কিশোর গ্যাং ইত্যাদি সংক্রান্ত মামলার তথ্য-উপাত্ত কনফারেন্সে উপস্থাপন করেন।
কনফারেন্সে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্তি আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপিগণ, ঢাকায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপারগণ অংশ নিচ্ছেন।
সভায় উপস্থাপিত বিভিন্ন মামলার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ কোয়ার্টারে বিগত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসের তুলনায় ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা কমে এসেছে।
কনফারেন্সের দ্বিতীয় অধিবেশনে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে এসডিজির সম্পৃক্ততা বিষয়ে বক্তব্য দেন।
এছাড়া অপারেশনস সংক্রান্ত বিষয়ে অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ সম্পর্কে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান বক্তব্য দেন।