বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫১ বছরেও বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিকদের প্রটোকল প্রত্যাহারের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে কোনো লাভ না পেয়ে সরকার পাগল হয়ে গেছে।’
বুধবার রাজধানীর শাহজাদপুরে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে এই পদযাত্রার আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে খন্দকার মোশাররফ তার বক্তব্যে নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্র বা ফাঁদে পা দেবেন না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন উচ্চ পর্যায় থেকে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত দুর্নীতি। দেশের অর্থ পাচার করে সব শূন্য করে দিয়েছে। সরকার নিজেদের ইচ্ছামতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়াচ্ছে। দেশের মানুষ আজ দু’বেলা পেটপুরে খেতে পায় না। মধ্যবিত্ত আজ গরিব হয়ে যাচ্ছে।’
বর্তমান সরকারের অধীনে কেউ ভোট দিতে চায় না উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, ‘কয়েকদিন আগে একটি উপনির্বাচনে ১৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। এতেই বোঝা যায় কেউ এই সরকারের অধীনে ভোট দিতে চায় না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে আর কোনো ভোট হতে দেয়া হবে না। জনগণ তা হতে দেবে না।’
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘আমরা সরকারকে বার্তা দিতে চাই, জনগণের চোখের ভাষা বুঝুন। আগের মতো আর ভোট হতে দেব না। আগামী নির্বাচন কোনোভাবেই এই সরকারের অধীনে হবে না। করতে দেবো না। শরীরে এক ফোঁটা রক্ত থাকতে জনগণ এই সরকারের অধীনে ভোট হতে দেবে না।’
সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনাদেরকেও ওই লাল দালানে ঢুকতে হবে। আমাদের কাছে জেলখানা এখন পান্তা ভাত। আমরা আর ভয় করি না। যতই জেল আর মিথ্যা মামলা দেয়া হোক কোনো লাভ হবে না। ক্ষমতা ছাড়তে হবে। এখনও সময় আছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিন।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় পদযাত্রা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়ালসহ অন্য অনেকে।
সমাবেশ শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পদযাত্রা শুরু হয়। শাহজাদপুরের সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে রামপুরা হয়ে মালিবাগ আবুল হোটেল মোড়ে এসে শেষ হয়।