মঞ্জুরুল ইসলাম নামে ২২ বছর বয়সী এক যুবককে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বিএসএফ।
মাদক আনতে গেলে মঞ্জুরুলকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে বলে পতাকা বৈঠকে জানিয়েছে বিজিবি।এদিকে মঞ্জুরুলকে হত্যার ঘটনায় কয়েকজন মাদক চোরাচালানীকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন নিহতের ভাই ফরিদুল ইসলাম। যদিও তদন্তের স্বার্থে আসামীদের নাম জানাননি পুলিশ।
মঞ্জুরুলকে হত্যার ঘটনায় বুধবার সকাল ১০ টায় আমতলী সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বিজিবি ও বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মঞ্জুরুলকে গুলি করার কথা স্বীকার করে বিএসএফ।
দিনাজপুর-২৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আলমগীর কবির জানান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের আমতলী সীমান্তের জলপাইতলি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার জাহাঙ্গীর হোসেন ও ভারতের বিএসএফর পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের নবগ্রাম ক্যাম্পের কমান্ডার জয় পাল বিষণ।
আলমগীর কবির জানান, পতাকা বৈঠকে বিএসএফ মঞ্জুরুলকে গুলি করার বিষয়টি স্বীকার করেছে। নিহত মঞ্জুরুল একজন মাদক ব্যবসায়ী।
চিরিরবন্দর থানার ওসি বজলুর রশিদ বলেন, ‘নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে দেখা গেছে যে নিহতের শরীরে ৪টি গুলির চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
‘এ ব্যাপারে নিহতের ভাই ফরিদুল ইসলাম কয়েকজন চোরাকারবারীকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। তদন্তের স্বার্থে এখনও চোরাকারবারীদের নাম বলা যাচ্ছে না। আমরা পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’