বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লাভ ভালো হওয়ায় কুমিল্লায় মিষ্টি আলুতে ঝোঁক

  •    
  • ১৭ মে, ২০২৩ ০৯:৫৯

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘মিষ্টি আলু চাষে কুমিল্লার মাটি খুবই উপযুক্ত। বর্তমানে মিষ্টি আলুর বহুমাত্রিক ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে কুমিল্লার চাষিরা আলু চাষে বেশ উৎসাহ দেখাচ্ছেন। বিষয়টা ইতিবাচক। আমরা চেষ্টা করছি চাষিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার। কারণ মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ সর্ম্পকে এখন সবার জানা। এ বছর কুমিল্লায় ৯৮১ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। মাঠে আবার মিষ্টি আলু ফিরে এসেছে এটা অবশ্যই সুখবর।’

মিষ্টি আলু একসময় বাংলাদেশের একটি অবহেলিত ফসল হিসেবে গণ্য হত। অনেকে গো-খাদ্য হিসেবে মিষ্টি আলু ব্যবহার করতো। তবে এখন সাধারণ মানুষের মধ্যে মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ ছড়িয়ে পড়েছে। পাশাপাশি লাভ ভালো হওয়ায় মিষ্টি আলু চাষে কুমিল্লার কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ ফিরে এসেছে।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, চলতি বছর কুমিল্লা জেলায় ৯৮১ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে ১৯ দশমিক ২ টন। সব মিলিয়ে চলতি বছর ১৮ হাজার ৬৫৯ টন মিষ্টি আলু উৎপাদন হয়েছে।

কুমিল্লা জেলার সব উপজেলাতেই কমবেশি মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। কুমিল্লার দাউদকান্দি, বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া, আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, তিতাস, হোমনা উল্লেখযোগ্য।

জেলার বুড়িচং উপজেলায় ঘুরে দেখা যায়, চাষিরা জমি থেকে মিষ্টি আলু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পরিবারের সদস্যরা আলু সংগ্রহের কাজে সহযোগিতা করছেন। সময় যেন নষ্ট না সেজন্য অনেকেই জমির আইলে বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছেন।

বুড়িচং উপজেলার রামপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুলতানা ইয়াসমিন জানান, এবদারপুর গ্রামে মিষ্টি আলুর আবাদ হয়েছে ১২ হেক্টর জমি। প্রতিটি আলুর ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত হয়েছে। ৩৭ জন কৃষক মিষ্টি আলু চাষ করেছেন।

এবদারপুর গ্রামের চাষি মো. ইকবাল হোসন বলেন, ‘কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী ৬ বিঘা জমিতে স্থানীয় জাতের মিষ্টি আলু আবাদ করি। প্রতি বিঘা জমি আবাদে খরচ হয়েছে বিশ হাজার টাকা। জমিতে আলুর ফলন হয়েছে ৬৬ মণ। প্রায় চার মাসেই ফলন ঘরে তুলতে পেরেছি। বিঘা প্রতি আলু বিক্রি করেছি ৬০ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি মুনাফা হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এ বছর মিষ্টি আলু চাষ করে আড়াই লাখ টাকা লাভ করেছি।’

চাষি ইকবাল হোসেনের মতই ওই এলাকার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর মিয়া, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মোখলেসুর রহমান, ঝর্ণা বেগম, মনু মিয়া, মোহাম্মদ মোস্তফা, হাজী খালেক সবার মুখেই লেগে আছে মিষ্টি আলুর মুনাফার হাসি।

বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. আফরিনা আক্তার বলেন, ‘এ বছর বুড়িচং উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু চাষ হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে কৃষকরা বেশ উৎসাহ নিয়ে মিষ্টি আলু চাষ করছে। এখন বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি আলু ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সুপারশপগুলো আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে কৃষকরা উৎসাহিত হচ্ছেন। এটা ভালো খবর।’

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘মিষ্টি আলু চাষে কুমিল্লার মাটি খুবই উপযুক্ত। বর্তমানে মিষ্টি আলুর বহুমাত্রিক ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে কুমিল্লার চাষিরা আলু চাষে বেশ উৎসাহ দেখাচ্ছেন। বিষয়টা ইতিবাচক। আমরা চেষ্টা করছি চাষিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার। কারণ মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ সর্ম্পকে এখন সবার জানা। এ বছর কুমিল্লায় ৯৮১ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। মাঠে আবার মিষ্টি আলু ফিরে এসেছে এটা অবশ্যই সুখবর।’

এ বিভাগের আরো খবর