বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

র‍্যাপিড ক্যাশ অ্যাপে প্রতারণা, চক্রের হোতা আটক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৬ মে, ২০২৩ ২৩:৪৩

এটিইউ’র সাইবার ক্রাইম উইং মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় উত্তরা পশ্চিমের সোনারগাঁও জনপদ রোডের ৬ নম্বর বাড়ি থেকে প্রতারক চক্রের হোতা ও এজেন্টসহ একাধিক সদস্যকে আটক করে।

র‍্যাপিড ক্যাশ নামক অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতারণা চক্রের হোতা ও এজেন্টসহ একাধিক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।

এটিইউ’র সাইবার ক্রাইম উইং মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় উত্তরা পশ্চিমের সোনারগাঁও জনপদ রোডের ৬ নম্বর বাড়ি থেকে তাদের আটক করে।

এটিইউ মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের সহকারী অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ওয়াহিদা পারভীন নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রতারক চক্রের হোতা মাহের র‍্যাপিড ক্যাশ নামক অ্যাপ ব্যবহার করে লোন দিয়ে এবং এর টাকা ফেরত দেয়ায় লোককে বাধ্য করার কথা স্বীকার করেছে। এই গ্রুপের সদস্যরা কোন একটি অ্যাপ বেশিদিন পরিচালনা করে না। কোনো অ্যাপ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আসতে পারে সন্দেহ হলেই চক্রটি সেই অ্যাপ পরিচালনা বন্ধ করে। পরে নতুন নামে একই কাজের অপর একটি অ্যাপ তৈরি করে প্রতারণা করে আসছে।

ওয়াহিদা পারভীন বলেন, ‘র‍্যাপিড ক্যাশ একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন। এই অ্যাপটি এন্ড্রয়েড মোবাইলে ডাউনলোড করার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল সেটটির সম্পূর্ণ এক্সেস নিয়ে নেয় (যার মধ্যে রয়েছে ব্যবহারকারীর সব কন্ট্যাক্ট নম্বর, গ্যালারি তথ্য ছবি, ভিডিও এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য)।

‘বাংলাদেশে ব্যবহারযোগ্য যে কোনো মোবাইল সিমের নম্বরের মাধ্যমে অ্যাপটি রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে র‍্যাপিড ক্যাশ ব্যবহারকারীকে পাঁচশ’ বা এক হাজার টাকার একটি ক্ষুদ্র ঋণ দেয় এবং ওইদিন থেকেই ওই টাকার ওপর প্রায় একশ’ টাকা হারে সুদ আরোপ করে।’

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ঋণ দেয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই লোন পরিশোধ বা কমপক্ষে সুদের টাকা পরিশোধ করার জন্য র‍্যাপিড ক্যাশ তাদের হটলাইন নম্বরের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দেয়। কোনো গ্রাহক তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সংশ্লিষ্টরা তাকে বিভিন্নভাবে প্রতারণা বা ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করে।

ভুক্তভোগীদের তথ্যে জানা যায়, কেউ কেউ সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধের পরও তাদেরকে জোর করে আবার ঋণ দেয়া হয় এবং ঋণের টাকা ও সুদ পরিশোধে বাধ্য করা হয়। ক্ষেত্রবিশেষে ভয়-ভীতিও দেখানো হয়।

ওয়াহিদা পারভীন বলেন, ‘সাইবার ক্রাইম উইং এ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পর অনুসন্ধান শুরু করে এবং প্রথমে দু’জন এজেন্টকে আটক করে। এজেন্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং পরবর্তী অনুসন্ধানের মাধ্যমে এই চক্রের হোতা মাহিরের সন্ধান মেলে।

‘এই চক্রের আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর