ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের স্থাপনা ও এর কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা স্বাগতিক (হোস্ট) দেশের দায়িত্ব এবং তা অবশ্যই পালন করতে হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সোমবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার ঢাকায় গণমাধ্যমকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ ছয়টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের দেয়া বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জনবল সংকট ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কৃচ্ছ্রসাধনের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে অর্থের বিনিময়ে কূটনীতিকরা বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা নিতে পারবেন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বা এর কর্মীদের নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিস্তারিত বিবরণে প্রবেশ করতে যাচ্ছি না। কিন্তু এ বিষয়টি উল্লেখ করছি যে, কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, যে কোনো স্বাগতিক দেশকে অবশ্যই সব কূটনৈতিক মিশনের স্থাপনা এবং কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তার বাধ্যবাধকতা বজায় রাখতে হবে। একইসঙ্গে কর্মীদের ওপর যেকোনো আক্রমণ প্রতিরোধে সব ধরনের উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এই প্রধান উপ-মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের কূটনৈতিক কর্মী এবং স্থাপনার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রসঙ্গ টেনে জানতে চাওয়া হয়, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না? জবাবে বেদান্ত প্যাটেল জানান, এ ধরনের বিষয়ে তার কাছে নতুন কোনো তথ্য নেই।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে এই উপ-মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও গভীর করার ক্ষেত্রে আমরা মনোযোগী। বিশ্বের যেখানেই নির্বাচন হোক, আমরা চাই সেটা অবাধ ও সুষ্ঠু হোক। এর বাইরে কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থিতার ক্ষেত্রে আমি কিছু বলতে চাই না।’