মোস্তাকিমের মামলায় সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর অবশেষে কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আজিজ।
হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে এই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করা মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার তিন দিনের মধ্যে রোববার তারা কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে থানার বাইরে তাদের কেটে গেছে ৮৩ দিন।
২০ ফেব্রুয়ারি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে এই দুই কর্মকর্তা ও থানার অজ্ঞাত কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর থেকে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটিতে যান তারা।
নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আহমদ নুর এ বিষয়ে বলেন, ‘ওনারা এতোদিন অসুস্থ ছিলেন। এখন সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।’
অসুস্থতা সম্পর্কিত কোনো চিকিৎসাপত্র জমা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে সরাসরি ওসি নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি অসুস্থতাজনিত ছুটিতে ছিলাম। ডিপার্টমেন্টে কাগজপত্র জমা দিয়েছি। এটি ডিপার্টমেন্টাল বিষয়। এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে পারব না।’
একই বিষয়ে জানতে এসআই আবদুল আজিজের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন মজুমদার, উপ-পরিদর্শক আবদুল আজিজ ও থানার অজ্ঞাত কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভোক্তভুগী সৈয়দ মোহাম্মদ মুনতাকিম ওরফে মোস্তাকিম। বৃহস্পতিবার (১১ মে) মামলার বাদীকে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তথ্যগত ভুল উল্লেখ করে আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দেয় সিআইডি।
প্রতিবেদনের বিষয়ে সিআইডির এএসপি শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাকে আমরা চিকিৎসকের কাছে পাঠিয়েছি। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে মতামত দিয়েছেন।’
মামলার বাদী নির্যাতনের শিকার হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন জানালে তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে জেনারেল হাসপাতালেও আমরা পাঠিয়েছি, প্রতিবেদন চেয়েছি। তারাও জখমের চিহ্নের বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন দেয়নি। বৃহস্পতিবার আমরা প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। প্রতিবেদনে এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে।’
এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে না-রাজি দেয়ার কথা জানিয়েছেন মামলায় বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান।