সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা দেয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোরও কোনো চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে না।
সোমবার গণভবনে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর-পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান বলেন, ‘করোনার সময় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের বয়সসীমার বিষয়টি ক্ষেত্রবিশেষে শিথিল করা হয়েছে। ‘একটা সময়ে এটা নিয়ে যখন আন্দোলন হলো তখন আমরা একটা হিসাব নিয়েছিলাম। আমি পুরো চার্ট বের করে নিয়ে এসেছিলাম। ২৪-২৫ বছরের একটা ছেলে যখন পরীক্ষা দেয় তখন তার যে রেজাল্ট আসে, ৩০ বছরে গিয়ে চাকরির পরীক্ষা দিলেও সে কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফেল করে।
‘আমরা মনে হয় সাংবাদিকরা বিষয়টিতে নজর দিয়ে দেখতে পারেন- আসল ব্যাপারটা কী। আসলে কাজ করার একটা সময় থাকে, পাস করারও একটা সময় থাকে।’
সরকারি কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়লে এর প্রভাব বেসরকারি চাকরিজীদের ওপরও পড়ে। সরকার প্রধান এদিকেও একটু নজর দেবেন- এমন অনুরোধের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫ সালে যখন আমরা বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করি তখন আমরা পজিশন রেখেছিলাম যে মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সঙ্গে বেতনটা বাড়বে। তারও একটা সময় নির্দিষ্ট করা ছিল।
‘এখন মুদ্রাস্ফীতি একটু বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সেই জাইগায় একটু নতুনভাবে কতটুকু পর্যন্ত সুযোগ দেয়া যায় সেই চিন্তা-ভাবনা করছি। এটা করো সেটা করো- এমনটা করে আসলে কোনো লাভ হয় না। কিছু লোক বঞ্চিত হয়, আর কিছু লোকের বাড়ে।
‘এখন প্রতি বছরের হিসাবমতো মুদ্রাস্ফীতি যে হারে বাড়বে সেই হিসাবমতো সুযোগ-সুবিধা বাড়াই। তাছাড়া আমরা অনেক সুযোগও দিয়েছি। বৈশাখী ভাতা, লোন, গাড়ি কেনার লোন, বাড়ি বানানোর লোন- অনেক ধরনের সুবিধা দিচ্ছি। মহার্ঘ্য ভাতা দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।’