বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৯ হাজার টন কয়লা পৌঁছেছে। শনিবার রাতে তিনটি লাইটার জাহাজে করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এই কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে আনা হয়। এর আগে ৯ মে ৪৯ হাজার ৭০০ টন কয়লা নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর করে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘বসুন্ধরা ইমপ্রেস’।
এর আগে ২৫ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে জাহাজটি।
রোববার বিকেলে ‘বসুন্ধরা ইমপ্রেস’ জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হওয়া ১৯ হাজার ৭০০ টন কয়লার মধ্যে ৯ হাজার টন কয়লা রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
‘অবশিষ্ট ১০ হাজার ৭০০ টন কয়লা সোমবার মোংলার বঙ্গবন্ধু-ঘষিয়াখালী চ্যানেল দিয়ে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আনা হবে। এরপর ‘বসুন্ধরা ইমপ্রেস’ জাহাজে থাকা ৩০ হাজার টন কয়লা আনা হবে মোংলা বন্দরে।’এদিকে কিছুতেই ঘুরে দাঁড়াতে না পারায় গত চার মাসে তিন বার বন্ধ হয় রামপালের এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ফলে এ সময় জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারেনি কেন্দ্রটি। সবশেষ ২৩ এপ্রিল রাত থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বর্তমানে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে রক্ষণাবেক্ষণ কাজে। কারণ চুক্তি অনুযায়ী রামপালের বিদ্যুৎ পিডিবিকে কিনতে হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ থাকলেও পিডিবিকে কেন্দ্রের সক্ষমতা ব্যয় পরিশোধ করতে হবে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-ব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইতোমধ্যে ৯ হাজার টন কয়লা এসেছে। তবে কেন্দ্রটি এখনই বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে না। ১৬ মে মোংলা বন্দরে ৩০ হাজার টন কয়লা আসার পরই দ্রুত রামপাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হবে।’