সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ায় জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহ্ইয়া চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
রোববার বিকেলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান স্বাক্ষরিত এক পত্রে ওই বিষয়ে জবাব চাওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়, ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঝেরঝেরি পাড়ায় এক সভায় মঞ্চে উপস্থিত হয়ে বক্তব্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীর পক্ষে ভোট চান।
দলের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী থাকার পরও এমন কাজ স্পষ্টভাবে দলীয় শৃঙ্খলা ও স্বার্থের পরিপন্থী।
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, এ বিষয়ে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ইয়াহ্ইয়া চৌধুরীকে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
তবে এখনও নোটিশ পাননি জানিয়ে ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী বলেন, ‘নোটিশ পেলে এ ব্যাপারে লিখিতভাবে জবাব দেব। এলাকাবাসীর আয়োজনে একটি অনুষ্ঠানে গিায়েছিলাম। সেটি দলীয় কোনো অনুষ্ঠান ছিল না। কেন্দ্রীয় নেতাদের মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছি।’
শুক্রবার রাতে নগরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঝেরঝেরি পাড়ায় নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সমর্থনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী। বক্তব্যে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠে।
সিলেট সিটি করেপারেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে প্রার্থী হয়েছেন দলটির সিলেট মহানগর শাখার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বাবুল। ইয়াহ্ইয়ার এমন আচরণে ক্ষুব্ধ বাবুল শনিবারই দলের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করেন।
রোববার মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল।
এ পর্যন্ত মেয়র পদে ছয়জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
বাবুল ছাড়া অন্যরা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান এবং তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ ওরফে কুটু, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান খান ও সামছুন নুর তালুকদার।