বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহাবিপদেও সৈকতে সেলফি: প্রতিমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৪ মে, ২০২৩ ১৯:৩৯

এনামুর রহমান বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) রাত সাড়ে ৯টার সময় প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন দিয়ে বলেন যে, এখনও বিচে মানুষ সেলফি তুলছে, আনন্দ করছে। এটাকে তোমরা নিয়ন্ত্রণ করো। বিষয়টি নিয়ে আমরা ডিসির সঙ্গে কথা বলার পর বিজিবি সদস্যরা বিচ খালি করেছেন।’

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ইস্যুতে পর্যটন জেলা কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়। এমন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতেও সাগর সৈকতে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে সেলফি তুলতে দেখা গেছে অনেক পর্যটককে।

বিষয়টি নজরে আসার পর উদ্বেগ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানকে ফোন করে এসব নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন।

রোববার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য নিয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ফোনে বলেন- এখনও বিচে মানুষ সেলফি তুলছে, আনন্দ করছে। এটাকে তোমরা নিয়ন্ত্রণ করো।’

মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করার পরও সাগর সৈকতে মানুষ যাতায়াত করছে। তাদের নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থা ছিল কী না- একজন সংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ডেফিনিটলি আছে। মহাবিপদ সংকেত দেয়ার পর কিন্তু বিচ খালি হয়ে গেছে। বিচ শুধু নয়, পুরো ট্যুরিস্ট অ্যাক্টিভিটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

‘আমরা আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের পিএসও’র সঙ্গে কথা বলেছি। উনি এরপর বিজিবি, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ- সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন এবং সবার প্রচেষ্টায় আমরা তাদেরকে হোটেলে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি।’

এনামুর রহমান বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় কেউ ছিল না। এমনকি গতকাল (শনিবার) রাত সাড়ে ৯টার সময় প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন দিয়ে বলেন যে, এখনও বিচে মানুষ সেলফি তুলছে, আনন্দ করছে; এটাকে তোমরা নিয়ন্ত্রণ করো। বিষয়টি নিয়ে আমরা ডিসির সঙ্গে কথা বলার পর বিজিবি বিচ খালি করেছে।’

সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে উদ্দেশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি যেটা বলেছেন তা সত্যি। কিন্তু সরকার চুপ করে বসে থাকে না, সরকার অ্যাকশন নিয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এটা দেখে আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলায় ৫ লাখ, কক্সবাজার জেলায় ২ লাখের বেশি এবং সেন্ট মার্টিনে সাড়ে ৮ হাজার সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষকে আমরা আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে পেরেছি।

‘চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আমরা বিশ লাখ টাকা নগদ দিয়েছি। এছাড়া ২শ’ টন চাল, ১৪ টন ড্রাই কেক ও টোস্ট দিয়েছি। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, খাবার স্যালাইন এবং মেডিক্যাল টিমের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।’

এ বিভাগের আরো খবর