বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাবুল-ইলিয়াসের নামে বনজের মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ ৮ জুন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৪ মে, ২০২৩ ১৭:৪২

রোববার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ দিন ঠিক করেন।

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার ও ইলিয়াস হোসাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য ৮ জুন ধার্য করেছে আদালত।

রোববার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ দিন ঠিক করেন।

এর আগে গত ১১ মে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আশেক ইমাম মামলাটি সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।

গত ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

ইলিয়াস হোসাইন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। অন্য দুই আসামি হলেন বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো. আবদুল ওয়াদুদ মিয়া।

বাবুল আক্তার (বাঁয়ে) ও ইলিয়াস হোসাইন। ফাইল ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বনজ কুমার বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে তদন্ত সংস্থা পিবিআই চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্ত করছে। তদন্তকালে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার প্রধান আসামি হিসেবে চিহ্নিত হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেলহাজতে থাকা বাবুল ও বিদেশে অবস্থানরত ইলিয়াসসহ বাকি আসামিরা মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাইছেন। তারা পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন।’

এজাহারে বলা হয়, ‘আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস গত ৩ সেপ্টেম্বর তার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে একটি ডকুমেন্টারি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন। এর আগেও মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে ইলিয়াস তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। ইলিয়াসের ভিডিওতে বিভ্রান্তিকর তথ্য এবং বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতন করার অভিযোগ আনা হয়।’

এর আগে মিতু হত্যা মামলায় হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয়জনের নামে মামলার আবেদন করেছিলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার।

আবেদনে বনজ কুমার মজুমদার ছাড়া যে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয় তারা হলেন পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের এসপি নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের এসপি নাঈমা সুলতানা, পিবিআইয়ের সাবেক পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবির।

গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছার আদালতে আবেদনটি করা হয়। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর তার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।

২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। চাঞ্চল্যকর মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে ইতোমধ্যে চার্জশিট দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর