ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করার সময় দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ।
বাংলাদেশ সময় রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেসবুকে দেয়া পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
পোস্টে বাংলাদেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক লিখেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা আপডেট; সকাল ১১টা বেজে ৩০ মিনিট ১৪ ই মে, ২০২৩। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মানুষের জন্য সুসংবাদ আছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্র যখন সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও মিয়ানমারের মংডু জেলার মধ্যবর্তী স্থানের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা শুরু করেছে, সৌভাগ্যক্রমে ঠিক ওই সময়ে সমুদ্রে ভাটার শুরু হয়েছে।
‘বঙ্গোপসাগরে প্রতি ৫ থেকে ১০ বছরে ১টা মাত্র সুপার-সাইক্লোন সৃষ্টি হয়। যদিও এবারে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ৩ বছর পরে সুপার-সাইক্লোন মোখা সৃষ্টি হলোও। সৌভাগ্যক্রমে ঘূর্ণিঝড়টি প্রথমে সমুদ্রের মধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়ে; এর পরে স্থলভাগে আঘাত করার সময় প্রতিকূল পরিবেশের সম্মুখীন হচ্ছে।’
যা আছে আবহাওয়া অধিপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে
ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৯.২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.৮ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ সকাল ৯টায় (১৪ মে, ২০২৩) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।
“এটি বর্তমানে কক্সবাজারে-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রমরত আছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (১৪ মে, ২০২৩) বিকাল নাগাদ সিট্টুয়ের (মিয়ানমার) নিকট দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।”