ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাব শুরু হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার দুই দ্বীপাঞ্চল সেন্ট মার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপে।
অতি প্রবল এ ঝড়ের প্রভাবে রোববার সকালে সেন্ট মার্টিনে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে প্রবল বাতাস ছিল শাহপরীর দ্বীপে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় অগ্রভাগ এরই মধ্যে কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আজ বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান সকালে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইতোমধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও বাতাসের গতিবেগ বেড়ে গেছে। এ মুহূর্তে সাগর উত্তাল ও পানির উচ্চতা বৃদ্ধিতে পাচ্ছে। হালকা জোয়ারের পানি আসতেছে।’
সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা মর্জিনা খাতুন বলেন, ‘সেন্ট মার্টিনে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্র বেশি উত্তাল হতে শুরু করেছে। আমি পরিবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছি। এখানে খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। মোবাইলেও চার্জ নেই।’
এদিকে শাহপরীর দ্বীপ এলাকার কলেজপড়ুয়া ছাত্র মো. শাহীন ইমরান বলেন, ‘এখানে যে পরিমাণ বাতাসের গতিবেগ বেড়ে গেছে, সমুদ্রপাড়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এখন অনেক বেশি বাতাস বইছে। বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে।’
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে ৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৯টি মেডিক্যাল টিম।
কন্ট্রোল রুম সূত্রে আরও জানায় যায়, দেড় শ টন চাল, ৬.৯ টন শুকনো খাবার, ২০ হাজার প্যাকেট ওরাল স্যালাইন, ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ১৯ হাজার নগদ টাকা মজুত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘সেন্ট মার্টিন-টেকনাফে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
‘সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে মাইকিং করছি। সার্বক্ষণিক সেন্ট মার্টিন দ্বীপের খোঁজখবর রাখছি।’