দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার আক্রমণে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি রুখতে চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৮৮ হাজার বাসিন্দা সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম শনিবার মধ্যরাতে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এনডিসি মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর থেকেই সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি রুখতে কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। শুক্রবার দিনভর উপকূলীয় ও ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং করা হয়। এরমধ্যে শুক্রবার রাতে জেলা প্রশাসক নিজেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো পরিদর্শন করে বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণের অনুরোধ করা হয়। শনিবার সকাল থেকে বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার রাত নয়টা পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকার আনুমানিক ৮৮ হাজার বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। রাতের খাবারে তাদের খিচুড়ি দেয়া হয়েছে।’
ঘূর্ণিঝড় মোখাকে ঘিরে ৫ লাখ ১ হাজার ১১০ জন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৫৩০টি স্থায়ী ও ৫০০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে জেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৮ হাজার ৮৮০ জন সিপিপি (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) ও ৮ হাজার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত ফায়ার সার্ভিসের সরঞ্জামসহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসকে। মেডিক্যাল টিমসহ প্রস্তুত আছে নেভি ও কোস্ট গার্ডের উদ্ধারকারী বোটও।
এ ছাড়াও শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দিনভর জেলার উপকূলীয় ও ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকার জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদ স্থানে নেয়ার কাজ করে জেলা প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সেবা চালু করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিপিপি ও ইসপা।