৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের মধ্যেও কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের উপস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয় প্রশাসনকে। স্থানীয় প্রশাসন ও নৌ-পুলিশের লাগামহীন সতর্কতামূলক প্রচারণার পরও কোনোভাবেই সৈকত থেকে পর্যটকদের সরানো যাচ্ছে না।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পর্যটকদের সরব উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। দিনের মতো রাতেও সৈকতে দম্পতিসহ অনেক উৎসুক পর্যটকদের ছবি তুলতে দেখা গেছে।
সাতক্ষীরা থেকে জুনায়েদ দম্পতি কুয়াকাটায় এসেছেন বৃহস্পতিবার। আজকে তাদের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ঝড়ের কারণে ইচ্ছা করেই বাড়ি যাননি বলে জানালেন।
জুনায়েদ বলেন, ‘আপনার ভাবীর ঝড় দেখার খুব শখ; তাই রয়ে গেলাম। সৈকতে ঘুরছি, ভালোই লাগছে।’
৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির খবর জানেন কিনা, প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘জানি, তবে এখানকার ওয়েদার ভালো। কোনো সমস্যা হবে না। দিনের চেয়ে রাতের আবহাওয়াটা বেশি ভালো লাগছে। যেহেতু বৃষ্টি নেই, তাই সৈকতে ঘুরছি।’
কথা হয় ফরিদপুর থেকে আসা মো. কুদ্দুস মিয়ার সাথে। খোলাখুলিই এ প্রতিবেদককে বললেন, ‘ঝড় দেখতেই রাতে সৈকতে আসা। গত দুদিন ধরে শুনে আসছি ঝড় আসবে, ঝড় আসবে; কিন্তু আসেনি।’
মহাবিপদ সংকেতের মধ্যেও কেন সৈকতে এসেছেন, প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘প্রশাসন বারবার বলছে; কিন্তু মন চেয়েছে, তাই এসে পড়লাম। যদি জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায়, তাহলে হোটেলে চলে যাব।’
এ ব্যাপারে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাড়ির ইন-চার্জ আকতার মোর্শেদ বলেন, ‘দিনভর মাইকিং করে পর্যটকদের সরানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছু উৎসুক পর্যটক ও স্থানীয়রা ভিড় করছে সৈকতে। তাদেরও সরানোর চেষ্টা করছি আমরা।
‘আমাদের দায়িত্ব প্রচারণা করে সচেতন করা; আমরা সেটাই করছি। সে ক্ষেত্রে পর্যটকসহ সাধারণ মানুষ যদি সচেতন না হয়, তাহলে আমরা কী করবো।’
কুয়াকাটার ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, ‘আমরা বিকেল থেকে ব্যাপক মাইকিং করেছি পর্যটকদের তীরে আসার জন্য। সৈকতে নামতে তাদের নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও সন্ধ্যার পর থেকে কিছু উৎসুক জনতা সৈকতে ঘোরাঘুরি করছে।’