ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র ক্ষতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ২ লাখ ৫০ হাজার সদস্য উপকূলীয় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। জনসচেতনতায় মাইকিং করা, উপদ্রুত এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক দায়িত্ব পালন করছেন তারা।
সাধারণ জনগণ, পোষা প্রাণী, ঘরবাড়ি, ফসল, মাছের ঘের, প্রাণিসম্পদ ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় দায়িত্ব পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা কমান্ড্যান্ট ও ব্যাটালিয়ন অধিনায়কদের প্রতি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তর থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
শনিবার রাতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর গণসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্দেশনার আলোকে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এবং নিজ নিজ উদ্যোগে উপকূলীয় এলাকায় সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষকে সাহস জোগানো ও আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় সাধারণ জনগণকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন আনসার সদস্যরা। ছবি: নিউজবাংলা্
জাহিদুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে হাতিয়া উপজেলার ২৫৫টি ও সুবর্ণচর উপজেলার ১৫১টি আশ্রয় কেন্দ্রে আনসার-ভিডিপি সদস্যদের সহায়তায় প্রায় তিন লাখ মানুষকে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাদের দেখাশোনা ও অন্যান্য সহযোগিতার জন্য ভিডিপি ইউনিয়ন লিডার ও আনসার কমান্ডাররা কাজ করছেন।
এছাড়া সেন্ট মার্টিন, সন্দ্বীপ, ভোলাসহ অন্যান্য জেলা ও উপজেলায় সাধারণ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে আশ্রয় কেন্দ্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন আনসার সদস্যরা।
আনসার সদর দপ্তর জানিয়েছে, প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে একজন কমান্ডারের অধীনে ১০ জন করে ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সব সদস্যের ছুটি স্থগিত করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়কবলিত এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ইউনিয়ন/ওয়ার্ড দলনেতা ও দলনেত্রী, উপজেলা ও ইউনিয়ন আনসার কমান্ডারগণ এবং ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদেরকে মোতায়েন করা হয়েছে।