বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে দুই দ্বীপের মানুষ

  • প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার)   
  • ১৩ মে, ২০২৩ ১৯:০০

টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান বলেন, ‘১০ নম্বর মহাবিপদসংকেত জারির পর কিছু লোকজন কান্নাকাটি শুরু করেছেন বলে টেলিফোনে একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে জেনেছি। তবে এ মুহূর্তে কোনো ধরনের ট্রলার পাঠানো সম্ভব নয়।’

গতি বাড়িয়ে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদসংকেত দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো কক্সবাজারেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র।

ইতোমধ্যে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে শুরু করেছেন টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা।

শাহপরীরদ্বীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া ফরিদা বেগম বলেন, ‘নাফ নদীর তীরে আমাদের বাড়ি। সমুদ্রের পানিতে ঘরবাড়ি ডুবে যেতে পারে। তাই প্রাণ বাঁচাতে বাচ্চাদের নিয়ে আগেই থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছি।’

শাহপরীরদ্বীপ ডাংগর পাড়া সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়ার জন্য যাচ্ছিলেন শরীফ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমার কোমরে ভাঙা, তাই আগে থেকে বউ-বাচ্চা নিয়ে চলে আসলাম।’

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা নুর বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘আমার বাড়িতে আমি ছাড়া কেউ নেই। যদি তুফান শুরু হয়, আমাকে কেউ আনবে না। তাই আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসলাম।’

প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘লোকজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।’

টেকনাফের সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া মুজিব উল্লাহ বলেন, ‘এ ঘূর্ণিঝড় নাকি ভয়ঙ্কর। তাই জীবনে বাঁচতে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসছি। আল্লাহ যেন সবাইকে রক্ষা করে।’

সেন্টমার্টিনের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, ‘সেন্টমার্টিন হাসপাতাল ও ডাকবাংলো আশ্রয়কেন্দ্রে এ পর্যন্ত ৭ শতাধিক পরিবার অবস্থান নিয়েছে।’

আজ সন্ধ্যার মধ্যে বাকি সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে বলে জানান চেয়ারম্যান।

টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান বলেন, ‘১০ নম্বর মহাবিপদসংকেত জারির পর কিছু লোকজন কান্নাকাটি শুরু করেছেন বলে টেলিফোনে একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে জেনেছি।

‘তবে এ মুহূর্তে কোনো ধরনের ট্রলার পাঠানো সম্ভব নয়। দ্বীপের ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নেয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।’

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যারা আশ্রয় নেবেন, তাদের খাদ্যসামগ্রী দেয়া হবে। ৫৭৬ আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর