ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। কক্সবাজার শহরের নিম্নাঞ্চল ও কুতুবদিয়ার কিছু গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় ওই এলাকা থেকে অন্তত ৩০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে জেলা প্রশাসনের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে।
শনিবার সকাল থেকে কক্সবাজার উপকূলের নাজিরারটেক, কুতুবদিয়া পাড়া, সমিতিপাড়াসহ কয়েকটি এলাকা থেকে অন্তত ৩০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে জেলা প্রশাসনের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে।
জোয়ারের পানিতে প্লাবিত নাজিরারটেকের শফিকুল ইসলামের বসতঘর। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার রাত দুইটার পর থেকে পানি ঢুকতে শুরু করে। বৃষ্টি ও হালকা বাতাস ছিল। যার ফলে আমার বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই পরিবার নিয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছি।’
আরেক ট্রলারমাঝি রফিকুল ইসলাম বলেন, হুঁশিয়ারি সংকেত দেয়ার পর ট্রলার নিয়ে সাগর থেকে কূলে ফিরি। এখন পরিবার নিয়ে এখানে অবস্থান নিয়েছি। ছোট ছেলে-মেয়েও এখানে। এখন কিছুটা নিরাপদ মনে হচ্ছে।’
কুতুবদিয়া পাড়ার রহিমা বেগম তিন সন্তান নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে আমার ঘর। পরিবারের চার সদস্য নিয়ে চলে এসেছি। বৃষ্টি আর বাতাস কমলে তারপর ফিরব ঘরে। এখন ভয় করছে। যেতে পারছি না।’
কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলার উপকূলীয় এলাকার ৫৭৬ সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা, ৪৯০ টন চাল, ৭ টন শুকনো খাবার ও ১৯৪ বান্ডিল ঢেউ টিন মজুত রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় পর্যটকদের নামতে দেয়া হচ্ছে না। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এটি পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে। শনিবার দুপুর থেকে পুরোদমে হয়তো নাজিরারটেক উপকূলের মানুষদের সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হতে পারে।’