ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ায় শঙ্কায় দিন পার করছেন দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষেরা। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূল দিয়ে অতিক্রম করার সময় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় ‘মোখা’র প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো।
ক্ষতি যতটা কমানো যায়, সে লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণাসহ বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কাজ করে চলেছে স্থানীয় প্রসাশন।
প্রশাসন জানায়, ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এর মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মাইকিং করে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সার্বিক সহযোগিতায় সেচ্ছাসেবী টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভূমিধ্বস ও বন্যায় প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। অনেককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্কুল, মসজিদ ও মাদ্রাসাসহ মজবুত সেন্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
টেকনাফের মোছনী ন্যাচার পার্কের ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে মাইকিং করে ক্যাম্পের সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পলিথিনে ভরে নিরাপদে রাখার জন্য বলা হয়েছে।’
প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উনচিপ্রাং ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি সাব্বির বলেন, ‘আমাদের ঝুঁকিপূর্ণ ঝুঁপড়ি ঘরগুলো শক্তভাবে বেঁধে প্রস্তুত করার জন্য প্রশাসন ও এনজিও’র পক্ষ থেকে রশিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেয়া হয়েছে। মাইকিং করে সবাই সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতিদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার খালিদ হোসেন বলেন, ‘সব রোহিঙ্গা শিবিরের লোকজনকে সতর্ক করা হয়েছে। মাইকিং করে ক্যাম্পের দুর্বল ঘরগুলো বাঁশ ও রশি দিয়ে মজবুত করতে বলা হচ্ছে। পাশাপাশি পাহাড়ে অতি ঝুঁকিপূর্ণদের চিহ্নিত করে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।’
জানতে চাইলে ১৬-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) জামাল পাশা বলেন, ‘ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে তাদের যে কোনো ধরনের সাপোর্ট দেয়ার জন্য আমাদের টিম প্রস্তুত রয়েছে।
‘কোনো সমস্যা দেখা গেলে তাদের উদ্ধার বা যে কোনো ধরনের সহোযোগিতায় আমরা প্রস্তুত আছি।’