বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেয়ের বিয়ে না হওয়ায় কবিরাজের কথায় একজনকে মারধর

  • প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ   
  • ১২ মে, ২০২৩ ১৬:৫৭

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মইজুদ্দিন মিয়ার মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েও বারবার ভেঙে যায়। এ জন্য তিনি উপজেলা দৌলতপুরে এক কবিরাজের কাছে যান। কবিরাজ বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পেছনে শাহজাহান মিয়া ও আনোয়ার হোসেনের জড়িত থাকার কথা জানায়।

মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েও শেষ পর্যন্ত না হওয়ার কারণ জানতে কবিরাজের কাছে যান মইজুদ্দিন মিয়া। কবিরাজ ঝাড়ফুঁক করে জানান, পাশের এলাকার শাহজাহান মিয়া ও আনোয়ার হোসেন এর সঙ্গে জড়িত।এরপর মইজুদ্দিন মিয়া তার ছেলে লিমন মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে মারধর করেন শাহজাহান মিয়াকে।

সম্প্রতি মানিকগঞ্জের ঘিওরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঘিওরের বরংগাইল-নাগরপুর আঞ্চলিক সড়কের পয়রা ইউনিয়নের পঞ্চরাস্তা মোড়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ৪৩ বছর বয়সী শাহজাহানকে মারধরের ওই ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

আহত শাহজাহান মিয়া ঘিওরের পয়লা ইউনিয়নের নলকুরিয়া এলাকার এবং অভিযুক্ত মইজুদ্দিন মিয়া বাইলজুরী এলাকার বাসিন্দা।

মইজুদ্দিন পয়লা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পঞ্চরাস্তা মোড়ে কাঠচিড়াই ও বিক্রি করেন। শাহজাহান ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মইজুদ্দিন মিয়ার মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েও বারবার ভেঙে যায়। এ জন্য তিনি উপজেলা দৌলতপুরে এক কবিরাজের কাছে যান। কবিরাজ বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পেছনে শাহজাহান মিয়া ও আনোয়ার হোসেনের জড়িত থাকার কথা জানায়।

কবিরাজের কথা শুনে শাহজাহান মিয়াকে কাঠচিড়াইয়ের দোকানে ডেকে নিয়ে মইজুদ্দিন ও তার ছেলে লিমনসহ বেশ কয়েকজন কাঠ দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।

ওই সময় শাহজাহানের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

ভুক্তভোগী শাহজাহান মিয়া জানান, মোটরসাইকেল ভাড়া নেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে মইজুদ্দিন কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে তাকে মারধর করেন। বিয়ে ভাঙার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্তা নেই বলে জানান শাহজাহান।

ঘিওর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জান্নাত আরা জানান, শাহজাহান মিয়ার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। মাথায় ৯টি সেলাই করতে হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে অভিযুক্ত মইজুদ্দিন মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বাড়িতে খোঁজ নিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি।

ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মইজুদ্দিন মিয়া ও তার ছেলে লিমন মিয়াসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করে শাহজাহান মিয়া মামলা করেছেন। অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

এ বিভাগের আরো খবর