ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের জামিনের মেয়াদ আগামী ১২ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম আহমেদ হুমায়ুন কবিরের আদালতে বৃহস্পতিবার শামস তার আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন। বিচারক ১২ জুন পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় করা এ মামলায় ১ মে পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস।
সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ২৯ মার্চ গ্রেপ্তার হন প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা ও রমনা থানায় আরেকটি মামলা হয় শামসুজ্জামানের নামে। রমনা থানার মামলায় তাকে ছাড়াও আসামি করা হয় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান।
স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যাতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে একজন শ্রমিকের ক্ষোভের বার্তা ছিল।
ওই প্রতিবেদনে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল বিক্রেতা শিশু সবুজ মিয়ার বক্তব্য ছিল। কিন্তু প্রতিবেদনটিতে জাকির হোসেন নামে দিনমজুরের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’
প্রতিবেদনটির ভিত্তিতে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে একটি ফটো কার্ড ছাপা হয়। এতে উদ্ধৃতিটি ছিল দিনমজুর জাকিরের, কিন্তু ছবি ছিল ফুল বিক্রেতা সবুজের।
ওই পোস্টে ছবি, উদ্ধৃতির এ গরমিলের পর প্রথম আলোর পক্ষ থেকে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়। পরবর্তী সময়ে সংশোধনীও দেয় সংবাদমাধ্যমটি।
এ নিয়ে বেসরকারি একাত্তর টিভিতে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাত বছরের শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক ছবি তুলেছেন বলে দাবি ওই শিশু ও তার পরিবারের।
এ ব্যাপারে সরকারদলীয় নেতারা বলেন, ‘এ ধরনের সংবাদের মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছে প্রথম আলো।’