গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে দাখিল করা মনোনয়নপত্র বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের রিট খারিজের লিখিত আদেশ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।
লিখিত আদেশে রিটটি খারিজের কারণ বর্ণনা করা হয়েছে। আদালত বলেছে, করপোরেশন আইন ২০০৯, অনুযায়ী গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার দিন ঋণখেলাপি ছিলেন। এ জন্য তার মনোনয়নপত্র বৈধ বলার কোনো সুযোগ নেই।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ পাঁচ পৃষ্ঠার লিখিত আদেশে এ কথা বলেছে।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, গত ২৭ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার দিন সিআইবি রিপোর্টে জাহাঙ্গীর আলমের নাম ছিল।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯-এর ৯ (২) ধারা তুলে ধরে আদেশে বলা হয়েছে, এই আইন অনুযায়ী জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন কোনোব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত কোনো ঋণ বা কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন তাহলে ঋণগ্রহীতা ছাড়াও বন্ধকদাতা বা জামিনদার ঋণখেলাপি বলে গণ্য হবেন।
মনোনয়পত্র দাখিলের সময় তিনি ঋণখেলাপি ছিলেন। যে কারণে তার মনোনয়নপত্র বৈধ বলার কোনো সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করেছে আদালত।
গত ৮ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের করা রিট খারিজ করে হাইকোর্টের এই বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার সেই আদেশের লিখিত কপি প্রকাশ হয়।
হাইকোর্টের আদেশের পর আপিল করার কথা জানালেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আপিলের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।
গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এর পর সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করলে গত ৪ মে সেটিও নামঞ্জুর হয়।
ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় বলে জানানো হয়। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ ধার্য রয়েছে।