ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেনের নামে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক মামলা করেছেন।
বুধবার দুপুরে ওসিসহ পাঁচজন পুলিশের নামে ঠাকুরগাঁও জেলা দায়রা জজ আদালতে মামলার আবেদন করেন এ যুবলীগ নেতা।
যুবলীগ নেতার অভিযোগ, অন্যায়ভাবে থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে হাতে হাতকড়া পরিয়ে এবং চোখে কাপড় বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হাত ভেঙে দেয়া হয়েছে তার।
মামলা আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা দায়রা জজ মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন। এ ছাড়াও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলকের চিকিৎসার প্রতিবেদন দাখিল এবং জেলা পুলিশ সুপারকে বিভাগীয় মামলা করার আদেশ দেন বলে জানান জেলা দায়রা ও জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম।
মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেয়ায় সন্তুষ্ট আইনজীবী ও বাদী। তারা আশা করছেন ন্যায় বিচারের।
জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক বলেন, ‘আর অন্য কারোর সঙ্গে যেন এমন অন্যায় না হয় তাই আদালতের প্রতি বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা রেখে মামলা করেছি। আশা করি ন্যায় বিচার পাব। এ ছাড়াও আদালতে আমার চিকিৎসার রির্পোটগুলো জমা দেয়া হয়েছে।’
গত ২৯ এপ্রিল রাতে শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলায় ঝামেলা চলছে এমন অভিযোগে পুলিশ রকি ও আসাদুজ্জামান পুলককে আটক করে। পরে তাদের থানায় নিয়ে নির্যাতন করে পুলিশ। গভীর রাতে পুলক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। পরে ২ মে আদালতের মাধ্যমে জামিন নিয়ে পুলককে আবারও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে তার পরিবার। বুধবার পুলক ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে রিলিজ নেন।