গাজীপুরের সালনায় রাবেয়া আক্তার নামে এক কলেজ ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা এবং নিহতের মা ও বোনকে গুরুতর আহত করার ঘটনায় মামলার একমাত্র আসামি সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানিয়ে বলেন, আসামি সাইদুল ইসলামকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রাবেয়া আক্তারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে সোমবার সন্ধ্যায়। এ সময় ওই কলেজছাত্রীর মা এবং বোনও গুরুতর আহত হয়েছেন। অভিযোগ ওঠে যে সাইদুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
স্বজনদের বরাত দিয়ে গাজীপুর সদর মেট্রোপলিটন থানার ওসি জানান, আবদুর রউফ গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ সালনা এলাকায় স্ত্রী ও চার মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন। তিনি ছোট দুই মেয়েকে কোরআন শিক্ষার জন্য স্থানীয় টেকিবাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মো. সাইদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন। তাদের পড়ানোর জন্য বাসায় যাওয়া-আসার সুবাদে বড় মেয়ে কলেজছাত্রী রাবেয়া আক্তারের দিকে সাইদুলের কুনজর পড়ে। তিনি রাবেয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা সরাসরি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়। সাইদুল এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাবেয়াকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাইদুল বাড়িতে ঢুকে রাবেয়াকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। তার চিৎকারে মা ও বোন এগিয়ে এলে তাদেরকেও কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যান সাইদুল।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাবেয়া মারা যান। গুরুতর আহত মা ও ছোট বোনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে সাইদুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করেন।