বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘মোখা’ রোববার সকালে টেকনাফে আঘাত হানার শঙ্কা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১০ মে, ২০২৩ ২১:৪৩

মোস্তফা কামাল পলাশ লেখেন, স্থলভাগে আঘাতের সময় ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘরগুলো উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা শতভাগ। সে সঙ্গে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে পাহাড় ধসের প্রবল ঝুঁকি রয়েছে।

কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র অতিক্রম করার আশঙ্কা প্রবল। ফলে রোহিঙ্গা শিবির ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি, বন্যা থেকে শুরু করে পাহাড় ধসের প্রবল ঝুঁকি রয়েছে।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বুধবার ফেসবুকে পৃথক দুটি পোস্টে এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ ১৪ মে রোববার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ও পেছনের অংশ সন্ধ্যা থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত উপকূল অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি লেখেন, স্থলভাগে আঘাতের সময় ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘরগুলো উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা শতভাগ।

এ সময় তিনি জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ হিমাওয়ারি ৯ প্রকাশ করা ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র (সম্ভাব্য) কারণে সৃষ্ট মেঘের একটি ছবিও সংযুক্ত করেন।

তিনি বলেন, ছবিটির গঠন দেখে অনুমান করছি যে, আগামী ৩ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপটি পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। গভীর নিম্নচাপটির কেন্দ্র বর্তমানে প্রায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখা (সম্ভাব্য) চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার সর্বোচ্চ আশঙ্কা রয়েছে।

উপরে উল্লিখিত গতিবেগে ঘূর্ণিঝড় মোখা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূল অতিক্রম করার সময় এই দুই জেলার সাগর-সংলগ্ন এলাকাগুলো ১৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কেন্দ্র কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপ, টেকনাফ, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলার ওপর দিয়ে অতিক্রম করার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। সে সঙ্গে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে পাহাড় ধসের প্রবল ঝুঁকি রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর