বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই মামলায় হেফাজতের মামুনুলের জামিন স্থগিত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১০ মে, ২০২৩ ১৭:৩৬

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনালে মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, ‘তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে দেয়া হাইকোর্টের জামিনের মধ্যে দুই মামলার জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ।’

নারায়ণগঞ্জে রিসোর্ট কাণ্ডের পর আন্দোলনের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁও থানায় নাশকতার অভিযোগে করা দুই মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

বুধবার চেম্বার জজ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের আদালত এ আদেশ দেয়। একই সঙ্গে আগামী ১২ জুন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ ব্যাপারে শুনানির জন্য আবেদনটি পাঠিয়েছে আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী, আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনালে মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, ‘তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে দেয়া হাইকোর্টের জামিনের মধ্যে দুই মামলার জামিন স্থগিত করেছে চেম্বার জজ।’

মঙ্গলবার বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামুনুল হককে তিন মামলায় জামিন দিয়েছিল।

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ৪১টি মামলার মধ্যে মতিঝিল থানায় করা ৪টি, পল্টন থানায় ৯টি, নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় ৩টি, সিদ্ধিরগঞ্জে ৩টি, হাটহাজারী মডেল থানায় ৮টি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় একটি, কুমিল্লার চান্দিনা থানায় একটি, রাজধানীর ভাটার থানায় একটি, মোহাম্মদ থানায় একটি, দারুস সালাম থানায় ৫টি ও মিরপুর মডেল থানায় ৩টি।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনালেও দুটি মামলা রয়েছে। এই ৪১টি মামলার মধ্যে আগে ১৭টি মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ ৯ মে ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে করা তিন মামলায় জামিন পান হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল। এর আগে ঢাকার পল্টন থানায় করা চারটি ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় করা একটি মামলায় ৩ মে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার একটি রিসোর্টে এক নারীসহ ঘেরাও করা হয় মামুনুল হককে। একপর্যায়ে ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন হেফাজতের কর্মীরা। ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর ওই বছরের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারী। তখন থেকে কারাগারে আছেন মামুনুল হক।

২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও সহিংসতার পর নানা ঘটনায় আলোচনায় আসেন খেলাফতে মজলিস নামে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলের তখনকার নেতা মামুনুল হক। এক পর্যায়ে তিনি হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব হন। পরে তাকে পদ থেকে সরানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর