যুদ্ধকবলিত সুদান থেকে আরও ৫৫৫ বাংলাদেশিকে শুক্রবারের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। বুধবার তিনটি ফ্লাইট এবং বৃহস্পতিবার আরেকটি ফ্লাইটে তাদের জেদ্দায় নেয়া হবে। সেখান থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়মিত ফ্লাইটের পাশাপাশি একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশিদের ফেরাতে সৌদি ও অন্যান্য সরকার এ বিষয়ে সহায়তা করছে। কিন্তু যে গতিতে তাদের নিয়ে আসব ভেবেছিলাম সেটি হয়নি, দেরি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা আমাদের নিজেদের খরচে পোর্ট সুদান থেকে সেখানকার স্থানীয় চারটি চার্টার্ড ফ্লাইটে জেদ্দা এয়ারপোর্টে ৫৫৫ বাংলাদেশিকে নিয়ে আসব।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বুধবার তিনটি ফ্লাইট অপারেট করবে। বৃহস্পতিবার আরেকটি ফ্লাইট অপারেট করবে জেদ্দা পর্যন্ত। জেদ্দা থেকে ঢাকা আনতে আমাদের বিমানের কমার্শিয়াল ফ্লাইট উন্মুক্ত আছে। সেখানে আসন সংখ্যার একটু সীমাবদ্ধতা আছে বলে মনে হচ্ছে। এ কারণে আমরা বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটেরও ব্যবস্থা করেছি।
শাহরিয়ার আলম জানান, বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার নাগাদ ৫৫৫ বাংলাদেশি জেদ্দা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করবেন।
সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা সবাই নিরাপদে আছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা খার্তুমের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠিয়েছি। প্রয়োজনীয় রান্নার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। থাকার কষ্ট হচ্ছে। তবে নরমালি কেউ অভিযোগ করেনি।
এর আগে ৮ মে সুদান থেকে দেশে ফেরেন ১৩৬ জন। সুদানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে দেশে ফেরত আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন।
সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে ১৫ এপ্রিল থেকে সংঘর্ষ চলছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা এ সংঘর্ষ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সংঘর্ষে এ পর্যন্ত চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেসামরিক লোকজন ছাড়াও জাতিসংঘ কর্মী, মিসরের সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাও রয়েছেন।