দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি বুধবার সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড় মোখায় রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির এক আবহাওয়াবিদ বুধবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে নিউজবাংলাকে জানান, গভীর নিম্নচাপটি সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে যেকোনো সময়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
গভীর নিম্নচাপটি দেশের কোন বন্দর থেকে কত দূরে অবস্থান করছে তা বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, ‘দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (৮.৯ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৮ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ (১০ মে, ২০২৩) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রববন্দর থেকে ১৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।’
নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার কোন দিকে অগ্রসর হবে তা নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এটি আরও ঘনীভূত হয়ে ১১ মে, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তী সময়ে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।’
নিম্নচাপের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।’
অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
‘উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হলো।’