গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ব্যত্যয় ঘটিয়ে গায়ের জোর দেখিয়ে আওয়ামী লীগ কখনও রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে ধরার অপচেষ্টা করেনি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের রায়ের ওপর আস্থাশীল এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সরকারে এসেছে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘গায়ের জোরে নির্বাচন করা যাবে না’ বক্তব্যের জবাবে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করে সাংবিধানিক চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করে সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন।
‘সেনাতান্ত্রিক শাসনের মতবাদ নিয়ে সামরিক ছাউনিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির জন্ম। আওয়ামী লীগ নয়, বরং বিএনপি বার বার গায়ের জোর দেখিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা করেছে।’
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন করেছিল বিএনপি। ২০০৭ সালে গায়ের জোরে নির্বাচন করতে গিয়ে গণআন্দোলনের মুখে তাদের রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন তা বাতিল করতে বাধ্য হন।
‘এভাবে বার বার গায়ের জোর দেখিয়ে যথেচ্ছভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখলে বিএনপির ব্যর্থ অপকৌশল এদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে; কারও বাক-স্বাধীনতা খর্ব করার লক্ষ্যে নয়। পৃথিবীর দেশে দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অনুরূপ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রয়েছে। এই আইনের বিরুদ্ধে কথা বলে মির্জা ফখরুল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের তথ্য-সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের পক্ষাবলম্বন করেছেন।’
মিথ্যা মামলা দেয়ার বিষয়ে মির্জা ফখরুলের অভিযোগ কল্পনাপ্রসূত বলে মন্তব্য করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘কোথাও কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সে বিষয়ে তদন্ত করে।
‘কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রুটিন কাজের অংশ। আর এই তদন্তের ওপর ভিত্তি করে আদালত বিচারিক প্রক্রিয়া গ্রহণ করে।’