জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান শাওনের মৃত্যুতে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা এবং পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (জবিশিস)।
মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আব্দুল কালাম ও মো. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে একটি চিঠিও পাঠানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকার ধূপখোলা বাজারের রাস্তার পাশে ওয়াসার পানির লাইন স্থাপনের সময় গ্যাসলাইন ছিদ্র হয়ে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে গুরুতর দগ্ধ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শাওন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ মে সকালে মারা যায়। প্রিয় শিক্ষার্থীর এই অকাল মৃত্যুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছে এবং একইসাথে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি উক্ত ঘটনায় দায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মেহেদী হাসান শাওনের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
রাজধানীর পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজারে তিতাসের গ্যাসের লাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শাওনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার দিন কাঁচা বাজার করতে গিয়েছিলেন শাওন। বাজার করা শেষে বাসায় ফেরার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। এতে তিনি দগ্ধ হয়েছিলেন। এ ঘটনায় শাওনসহ আরও আট জন দগ্ধ হন।