বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘মোখা’ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি উপকূলে

  • প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা    
  • ৯ মে, ২০২৩ ১১:০৩

উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে আসার জন্য আগে থেকেই করা হবে মাইকিং। এ ছাড়া বার্তা পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদগুলোর জনপ্রতিনিধিদেরকে। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবকদেরও।

বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। আর তা রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। সে ক্ষেত্রে এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে মোখা। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ১৩, ১৪ বা ১৫ মে-এর মধ্যে। ‘মোখা’ মোকাবিলায় তাই আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন।

ইতোমধ্যে জেলার উপকূলীয় শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ এই তিনটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগের মুহূর্তে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে উপকূলীয় নদ-নদীতে নৌকা, ট্রলারসহ অন্যান্য যানবাহন প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে আসার জন্য আগে থেকেই করা হবে মাইকিং। এ ছাড়া বার্তা পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদগুলোর জনপ্রতিনিধিদেরকে। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবকদেরও।

ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সোমবার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামন বাবু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তার হোসেন, এ বি এম খালিদ সিদ্দিকী, রহিমা খাতুন, ফাতেমা তুজ জোহরা, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল বাসেত প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, এখন‌ও কোনো দুর্যোগের পূর্বাভাস আমরা পাইনি। তবে সাতক্ষীরা একটি দুর্যোগপ্রবণ জেলা। যে কোনো দুর্যোগ এলেই সাতক্ষীরা উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। সেজন্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।

তিনি বলেন, জেলার উপকূলীয় শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ তিনটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও পাকা স্থাপনা স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ এগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে উপকূলীয় নদীতে নৌকা, ট্রলার রেডি রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, দুর্যোগকালীন সময়ে যেটা হয়, মানুষ সাধারণত ঘর ছেড়ে বাইরে আসতে চায় না। আমি আহ্বান রাখবো, দুর্যোগের সময় যদি প্রয়োজন হয় আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসবেন। থাকা-খাওয়াসহ সার্বিক ব্যবস্থা সরকার করবে।

সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সাতক্ষীরা জেলার দুর্যোগের সম্ভাব্য প্রভাব এবং দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসকল্পে করণীয় সম্পর্কে বক্তারা পৃথকভাবে তাদের মতামত দেন।

এ বিভাগের আরো খবর