বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চেয়ারম্যানের চাল আত্মসাৎ অভিযোগের তদন্ত শুরু

  • প্রতিনিধি, বাগেরহাট   
  • ৮ মে, ২০২৩ ২২:১৬

মোরেলগঞ্জের ইউএনও তারেক সুলতান বলেন, ‘১০৪০টি বস্তার মধ্যে আমরা ৮৫টি বস্তা পরিমাপ করেছি। এর মধ্যে ৬৫টি বস্তায় চাল কম পাওয়া গেছে। চাল সরবরাহ থেকে শুরু করে পরিবহন, বিতরণ সব বিষয় খতিয়ে দেখে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।’

বস্তা থেকে চাল আত্মসাতের অভিযোগে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বাদশার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।

সোমবার দুপুরে জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম তারেক সুলতান অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করেন।

ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, চৌকিদার, স্থানীয় নাগরিক ও উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি সবার সামনে গুদামে থাকা চাল পরিমাপ করেন তিনি।

এসময় ১০৪০টি বস্তার মধ্যে ৮ টি বস্তার চাল পরিমাপ করা হয়। প্রতিটি বস্তায় ৩০ কেজি চাল থাকার কথা থাকলে মাত্র ২০টি বস্তায় তা পাওয়া গেছে। ৬৫টি বস্তায় ২৪ কেজি থেকে ২৯ কেজি পর্যন্ত চাল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৪৪টি বস্তায় ছিদ্র করে চাল বের করে নেওয়ার প্রমাণ রয়েছে এবং অবশিষ্ট ২১টি বস্তায় ছিদ্র না থাকলেও চাল কম ছিল।

এ বিষয়ে আরও তদন্ত, পর্যালোচনা এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান।

তিনি বলেন, ১০৪০টি বস্তার মধ্যে আমরা ৮৫টি বস্তা পরিমাপ করেছি। এর মধ্যে ৬৫টি বস্তায় চাল কম পাওয়া গেছে। চাল সরবরাহ থেকে শুরু করে পরিবহন, বিতরণ সব বিষয় গভীরভাবে খতিয়ে দেখে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।

তদন্তের সময় উপস্থিত থাকা জিউধরা ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে রাতের আঁধারে বস্তায় বোমা কাটা (বস্তা ফুটো করার এক ধরনের সিক) মেরে চাল নামিয়ে রেখেছে। বস্তাভেদে ৩ কেজি থেকে ৬ কেজি পর্যন্ত চাল কম রয়েছে। আমরা সদস্যরা বিষয়টির প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যসহ অন্যান্যদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন। আজকে তো প্রমাণ হল, চাল কম দিয়ে চেয়ারম্যান তা আত্মসাৎ করেছেন।’

চাল আত্মসাতের বিষয়টি শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন জিউধরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর বাদশা।

তিনি বলেন, গুদাম থেকেই বস্তায় চাল কম দিয়েছে। আমি কোন দুর্নীতির সাথে জড়িত নই। চাল চুরির তো প্রশ্নই আসে না। আমার কয়েকজন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এই ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

বুধবার (০৩ মে) বেলা ১১টায় জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চাল বিতরণের সময় ওই অভিযোগ তোলেন কয়েকজন ইউপি সদস্য। তখন বস্তায় চাল কম থাকায় উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ বন্ধ করে গুদামে তালা মেরে দেন সরকারি ট্যাগ অফিসার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম।

ইউপি সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।

এ বিভাগের আরো খবর