বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুস্থ হয়েও জাতীয় পরিচয়পত্রে তারা ‘প্রতিবন্ধী’

  •    
  • ৮ মে, ২০২৩ ২০:৫৮

জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যমতে, রাজশাহী জেলায় ১২৫ জনের আবেদনের তথ্যে ম্যাডনেস (পাগল) বা ‘অপ্রকৃতিস্থতা’ উল্লেখ রয়েছে। এতে জাতীয় পরিচয়পত্র না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।

রাজশাহী বেসরকারি একটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করা উম্মে হাবিবা নতুন ভোটার হওয়া ও জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদনসহ সব প্রক্রিয়া কিছুদিন আগে সম্পন্ন করেন। বাগমারা উপজেলার এই বাসিন্দাকে কয়েক দিন আগে স্থানীয় নির্বাচন অফিস থেকে ফোন করে দপ্তরে ডেকে নিয়ে বলা হয় তার আবেদনে নতুন ভোটারের নামের বিপরীতে অপ্রকৃতিস্থতা বা মানসিক প্রতিবন্ধী উল্লেখ রয়েছে, তাই তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র পাচ্ছেন না। সুস্থ ও স্বাভাবিক হওয়ার পরও তাকে কীভাবে মানসিক প্রতিবন্ধী বানানো হয়েছে, তা জানেন না তিনি।

ওই উপজেলার ভবানীগঞ্জ সরকারি কলেজের সম্মান শ্রেণির শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলামের সঙ্গেও ঘটেছে একইরকম ঘটনা। এ শিক্ষার্থী বলেন, আবেদন করার অনেকদিন পরেও আমি ভোটার আইডি কার্ড না পেয়ে নির্বাচন অফিসে যোগযোগ করি। এর পরই জানতে পারি যে আমার নাম অপ্রকৃতিস্থ তালিকায় রয়েছে।

শুধু উম্মে হাবিবা বা আমিনুলই নন, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডারে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদনে ‘অপ্রকৃতিস্থতা’ উল্লেখ থাকায় বিপাকে পড়েছেন রাজশাহীর ১২৫ তরুণ-তরুণী। নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটার হওয়ার জন্য আবেদনকারীর ফরম পূরণের সময় ভুল তথ্য দেয়ায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।

জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যমতে, রাজশাহী জেলায় ১২৫ জনের আবেদনের তথ্যে ম্যাডনেস (পাগল) বা ‘অপ্রকৃতিস্থতা’ উল্লেখ রয়েছে। এতে জাতীয় পরিচয়পত্র না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।

ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া যেকোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোটরযান রেজিস্ট্রেশন, পাসপোর্ট, জমি ক্রয়-বিক্রয় কোনো কিছুই করা যায় না। মোট কথা, নাগরিক প্রায় সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে।

রাজশাহী জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন বলেন, রাজশাহী জেলায় নতুন ভোটার হওয়া ও জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে অনলাইনে আবেদনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখানে আবেদনকারীর কাছে বিভিন্ন রকম তথ্য চাওয়া হয়। ‘অন্যান্য তথ্য’ অংশে ‘অসমর্থতা’ শিরোনামে একটি ছক রয়েছে। এই ছকে মূলত দৃষ্টি, শারীরিক, শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা ও অপ্রকৃতিস্থতা বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়। অনেকে ভুল করে ম্যাডনেসে (পাগল) টিক চিহ্ন দিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী আদালত স্বীকৃত কোনো অপ্রকৃতিস্থ বা পাগল ভোটার হতে পারবে না। তবে আদালত ঘোষণা না করলে পাগলও ভোটার হতে পারবে।’

তবে সুস্থ ও স্বাভাবিক যেসব ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রে এমন ভুল হয়েছে, তারা নিজ নিজ উপজেলায় আবেদন করলেই এটা ঠিক করে দেয়া হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে এই নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন ভোটারদের মধ্যে অনেকেই দৃষ্টি, শারীরিক, শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী থাকতে পারেন। তারা তথ্য না দিলে তো নির্বাচন অফিস জানতে পারবে না। অপ্রকৃতিস্থতা বা ম্যাডনেসও তেমনই একটি বিষয়। তাই সবগুলোই অপশনে রাখা হয়েছে। যারা এই বৈশিষ্ট্যগুলোর বাইরে সুস্থ ও স্বাভাবিক তাদের এখানে টিক চিহ্ন দেয়ার দরকার নেই। কিন্তু অনেকে ভুল করে টিক দিয়েছেন বলেই বিড়ম্বনায় পড়েছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর