সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
সোমবার বিকেলে তার পক্ষে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়।
এদিকে, সোমবার দুপুরে নগরীতে শো-ডাউন দেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল।
দুপুরে বিমানযোগে তিনি ঢাকা থেকে সিলেট ফিরলে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে সংবর্ধনা দেন দলটির নেতাকর্মীরা। এরপর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন বাবুল।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহের তথ্য নিশ্চিত করে সিটি নির্বাচন উপলক্ষে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের গঠিত মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন বলেন, সোমবার বিকেল পর্যন্ত মেয়র পদে ৫ জন ও কাউন্সিলর পদে মোট ৩২১ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
মেয়র পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করা পাঁচজন হলেন নৌকা প্রতীকের জন্য মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও হাত পাখা প্রতীকের জন্য হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ ওরফে কুটু, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সামছুন নুর তালুকদার।
কাউন্সিলর পদে ৩২১ জনের মধ্যে ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (মহিলা কাউন্সিলর) ৭২ জন এবং ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ডে (পুরুষ কাউন্সিলর) ২৪৯ জন মনোনয়নপত্র কিনেছেন।
সিলেট সিটির এ পর্যন্ত হওয়া চারটি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের প্র্রার্থী ছিলেন সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। ২০২০ সালের ১৫ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
নির্বাচন উপলক্ষে গত ১৫ এপ্রিল যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। প্রবাস থেকে ফিরে গত ২২ জানুয়ারি থেকেই মাঠে সক্রিয় রয়েছেন তিনি।
তার বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভেঙে আগাম প্রচার শুরুরও অভিযোগ রয়েছে।
এদকে, ৪ মে শিল্পপতি নজরুল ইসলাম বাবুলকে দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে জাতীয় পার্টি।
শনিবার (৬ মে) বাবুলের হাতে দলীয় প্রতীক নৌকা তুলে দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
বিমানবন্দরে দেওয়া সংবর্ধনার পর নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের দু’বার করে বিজয়ী করলেও কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন পাননি এই নগরের মানুষ। এবার তারা পরিবর্তন চান। পরিবর্তনকামী জনগণ এবার জাতীয় পার্টিকেই বেছে নেবে।’
ইভিএম নিয়ে ভয় নেই জানিয়ে বাবুল বলেন, ‘চুরি তো ব্যালেটেও হয়। দিনের ভোট রাতে হয়ে যায়। তাই ইভিএম নিয়ে আলাদা কোন ভয় নেই। আশা করি নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ভোটের আয়োজন করবে। কারণ এই পূণ্যভূমিতে চুরি করে কেউ পার পাবে না।’
সিসিক নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিলেও এখন পর্যন্ত নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেননি। আগামী ২০ মে সমাবেশ করে তিনি এ ব্যাপারে ঘোষণা দেবেন বলে জানিয়েছেন।
আগামী ২১ জুন ইভিএমে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৫ মে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন।
২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশনের আয়তন ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার। নগরে ওয়ার্ড আছে ৪২টি। মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন।