বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৮ মে, ২০২৩ ১৮:৩৪

৩০ এপ্রিল শ্যামপুর কদমতলী রোডে কদমতলী স্টিল মিলসের সামনে রাস্তার ওপর একটি অজ্ঞাতনামা মরদেহ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে মরদেহটি শনাক্ত হলে মৃতের বাবা মো. রবিউল ইসলাম কদমতলী থানায় মামলা করেন।

রাজধানীর শ্যামপুর কদমতলী রোডে সিজার নামের এক চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগ।গ্রেপ্তাররা হলেন- মূল পরিকল্পনাকারী মো. বায়োজিদ, মো. রাসেল, মো. হৃদয় হাওলাদার ওরফে সাইদুর, মো. হুমায়ুন কবির, মো. হৃদয় ও মো. সেলিম।

রোববার হবিগঞ্জের মাধবপুর, বরিশাল কাজিরহাট, ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ তার নিজ কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ৩০ এপ্রিল শ্যামপুর কদমতলী রোডে কদমতলী স্টিল মিলসের সামনে রাস্তার ওপর একটি অজ্ঞাতনামা মরদেহ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে মরদেহটি শনাক্ত হলে মৃতের বাবা মো. রবিউল ইসলাম কদমতলী থানায় মামলা করেন।

গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তারা ২৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টায় কদমতলী স্টিল মিলসের সামনের রাস্তায় ভিকটিম সিজার হোসেনকে লোহার রড দিয়ে মাথার পেছনে আঘাত করে হত্যা করে। পরে তার কাছ থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং স্মার্টফোন ছিনিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যান। এই চক্রটি ইতোপূর্বেও একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।

ডিবি প্রধান বলেন, ‘২৯ এপ্রিল রাতে বায়েজিদ, রাসেল, হৃদয় ও পলাতক আসামি মনির মিলে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে। আসামি হৃদয় সেই মোতাবেক একটি অটোরিকশা নাজিরা বাজার থেকে ভাড়া করে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে।

‘এ সময় রিকশাচালক সিজার রিকশা না দিতে চাইলে বায়োজিদ তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে সিজারের মাথার পেছনে আঘাত করে।ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা রাসেল, বায়োজিদ এবং মনিরসহ চিটাগাং রোডে নিয়ে আরেক আসামি হুমায়ুনের কাছে বিক্রি করে। হুমায়ুন রিকশাটি ১৭ হাজার টাকায় আরেক আসামি সেলিমের কাছে বিক্রয় করে দেয়। পরে সেলিম রিকশাটি খুলে ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দেয়।’

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘পহেলা মে দুপুর বেলায় ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বায়োজিদ ও রাসেল গুলিস্থান মাজাররোডে আসামি হৃদয়ের কাছে ৪ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করে। হৃদয় মোবাইলটি ৩০০ টাকা লাভে আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দেয়।’

গ্রেপ্তারদের রিমান্ডে এনে আরও কোথায় কোথায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে জানা যাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর