বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে মিছিল করায় মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়কের নেতৃত্বে এক কর্মীকে হত্যার হুমকি দেয়ায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে ছাত্রলীগের এক কর্মী।
কাউনিয়া থানায় রোববার বিকেলে জিডি করা হয় বলে জানিয়েছেন কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল।
তিনি জানান, নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কর্মী মো. সোহাগ এই জিডি করেছেন। তিনি নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডের জানুকি সিংহ রোডের বাসিন্দা।
জিডিতে মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহম্মেদ মান্না ও তার ভাইসহ ১৭ জন নামধারী ও অজ্ঞাত আরও ১৫ জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়।
ছাত্রলীগের কর্মী মো. সোহাগ বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের পক্ষে নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডসহ কাউনিয়া এলাকায় কেউ প্রকাশ্যে প্রচার-প্রচারণা করতে সাহস পায় না। মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহম্মেদ মান্নার ভয়ে সকলে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রার্থীর প্রচারণা করতো।
‘শুক্রবার বিকেলে আমার নেতৃত্বে জানুকি সিংহ রোড এলাকায় প্রকাশ্যে প্রচার-প্রচারণা করা হয়। এ সময় নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে সাধারণ মানুষের কাছে দোয়া চাওয়া হয়। এতে মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মান্না ক্ষুদ্ধ হন।’
তিনি আরও বলেন, ‘‘সাংগঠনিক কাজ শেষ করে শনিবার রাত পৌনে একটার দিকে সঙ্গী সজীবুর রহমান ও সোহেল হাওলাদারকে নিয়ে বাসার উদ্দেশে রওনা হই। জানুকিং সিংহ রোডের ভুইয়া বাড়ির সামনে পৌঁছলে মান্নার নেতৃত্বে নামধারী ১৭ জন ও অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জন এসে আমাদের ঘিরে ধরে। মান্নার লোকজন ঘাড়ের ওপর রামদা ধরে এবং অস্ত্র উঁচিয়ে মান্না বলেন, ‘আমার চেয়ে বড় নৌকার কর্মী কে আছে? বেশি বাড়াবাড়ি করলে হত্যার হুমকি দেন মান্না।’’
ছাত্রলীগের কর্মী মো. সোহাগ বলেন, ‘নিজের বড় ধরনের ক্ষতির আশংকায় জিডি করেছি।’
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল জানান, বিকেলে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহম্মেদ মান্নাকে কল করা হয়। ফোন রিসিভ করলে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন মান্না। এরপর একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।