যুদ্ধকবলিত সুদানের বন্দর পোর্ট সুদান থেকে ৭০ বাংলাদেশি নাগরিক সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।
রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে সৌদি এয়ারফোর্সের দুটি ফ্লাইটে জেদ্দায় পৌঁছান তারা। তারা রোববার রাত ১টায় জেদ্দা এয়ারপোর্ট থেকে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন।
এছাড়া আরও ৬৫ জন বাংলাদেশি পোর্ট সুদান থেকে অন্য একটি ফ্লাইটে জেদ্দার উদ্দেশে রওনা করার কথা রয়েছে।
সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ সময় জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক উপস্থিত ছিলেন।
তবে সুদানে আটকে পড়া বাকিদের কিভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
জাবেদ পাটোয়ারি জানান, সৌদি সামরিক বাহিনীর একটি উড়োজাহাজে ৪৫ জন এবং অন্যটিতে ২৫ জন বাংলাদেশিকে জেদ্দার বাদশাহ আবদুল্লাহ বিমান ঘাঁটিতে আনা হয়। সুদান থেকে আসা এসব নাগরিককে আজ (রোববার) রাত ১টার ফ্লাইটে ঢাকায় পাঠানো হবে। দেশে ফিরতে যারা নিবন্ধন করেছেন পর্যায়ক্রমে তাদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারি বিমানবন্দরে সুদান ফেরত বাংলাদেশিদের স্বাগত জানান। ছবি: সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাস
সুদান ফেরত বাংলাদেশিদের বিশ্রামের জন্য জেদ্দা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংরেজি সেকশনে বিশ্রাম, খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে ১৫ এপ্রিল থেকে সংঘর্ষ চলছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা এ সংঘর্ষ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সংঘর্ষে এ পর্যন্ত চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেসামরিক লোকজন ছাড়াও জাতিসংঘ কর্মী, মিসরের সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাও রয়েছেন।
সুদানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৭০০ জন দেশে ফেরত আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এসব বাংলাদেশির মধ্যে প্রায় ৬৫০ পোর্ট সুদানে অবস্থান করছিলেন।
সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে পোর্ট সুদান বন্দরে নেয়া হয় এসব বাংলাদেশিকে। সেখান থেকে জাহাজে করে সৌদি আরবের জেদ্দায় পৌঁছানোর অপেক্ষায় ছিলেন তারা। কিন্তু সময়মতো জাহাজ না পাওয়ায় বিমানে করে ১৩৫ জনকে জেদ্দা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এক্ষেত্রে নারী, শিশু ও বয়স্কদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।