বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের সময় সদস্যভুক্ত বিভিন্ন দেশ থেকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠাতে কমনওয়েলথকে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার যুক্তরাজ্যের লন্ডনে হোটেল ক্ল্যারিজে কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারোনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী এ অনুরোধ করেন।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
মন্ত্রী জানান, আলাপে নির্বাচনের বিষয়টি সামনে আনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের পরবর্তী সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করতে কমনওয়েলথকে সহযোগিতা করারও অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কমনওয়েলথ চাইলে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে পারে। বিভিন্ন কমনওয়েলথ দেশ নির্বাচনে পর্যবেক্ষকও পাঠাতে পারে।
কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে সাহায্য করতে কমনওলেয়থ প্রস্তুত।
আব্দুল মোমেন জানান, বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি নেয়ার প্রস্তাব দেন কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল বললেন, প্রত্যেক পলিটিক্যাল পার্টি কমিটমেন্ট করবে যে তারা নির্বাচনে যাবে। তারা নির্বাচনে কোনো সংঘাত করবে না। নির্বাচনে না জিতলেও রাজনৈতিক দলগুলো তা মেনে নেবে।
মোমেন বলেন, স্বচ্ছ-সুন্দর নির্বাচনের জন্য, এটা আমরাও চাই। আমরাও চাই সব পার্টি কমিটমেন্ট করুক, পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট।
কমনওয়লথ মহাসচিবের এ প্রস্তাব প্রসঙ্গে ব্রিফিংয়ে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, সেক্রেটারি জেনারেল একটা প্রস্তাব করেছেন যেটা কমনওয়েলথের অন্যান্য দেশেও হয়েছে। সেটা হলো যত বড় রাজনৈতিক দলগুলো একটা রাজনৈতিক অঙ্গীকার করবে যে, তারা সবাই অংশগ্রহণ করবে।
মুনা বলেন, কমনওয়েলথ চায় অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন। পরে সেটা দেখা যায় যে, রাজনৈতিক দলগুলো ওই প্রতিশ্রুতি রাখেন নাকি। এটা কমনওয়েলথ মহাসচিব বাংলাদেশের জন্য প্রস্তাব করেছেন।
হাইকমিশনার জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমনওয়েলথ মহাসচিবের এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কমনওয়েলথ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনা, ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী ও স্বাধীন করতে আওয়ামী লীগ সরকার ও দলের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
এ সৌজন্য সাক্ষাতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ব্যারোনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের সঙ্গে কয়েকজন ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল উপস্থিত ছিলেন।