‘মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় আমি মাত্র পাঁচজন লোক নিয়ে গেছি। আর সাংবাদিক ছিলেন দেড়শ’। তাই আমি কোনো আইন ভঙ্গ করিনি।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা এমনটা দাবি করেছেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রোববার হাজির হয়ে কমিশনকে আচরণ বিধি ভঙ্গের কারণ ব্যাখ্যা করার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় আমি পাঁচজন নিয়ে গেছি। আর আপনারা ছিলেন দেড়শ’ জন।’
আজমত উল্লা খান নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন উল্লেখ করে তার প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না সেই ব্যাখ্যা দিতে ৩০ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন তাকে তলব করে। পাশাপাশি দু’দফায় চিঠিও দেয় সাংবিধানিক এই সংস্থা।
মিছিলসহ গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন- এমন বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী বলেন, ‘দিস ইজ নট কারেক্ট। মিছিল নিয়ে- এটা ঠিক নয়। আপনার কি দেখাতে পারবেন কোনো মিছিল নিয়ে গিয়েছি? এনি স্লোগান ওয়াজ রেইজড?
‘আপনাদের বুঝতে হবে- আমি পাঁচজন নিয়ে গিয়েছি। আপনারাই (সাংবাদিক) সেখানে ছিলেন কমপক্ষে দেড়শ’ জন। আর সেদিন শুধু আমার মনোনয়নপত্রই জমা দেয় হয়নি; কাউন্সিলর প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র জমা দেন। যে গেটটা ছিল, সেই গেট দিয়ে আমি পাঁচজন নিয়ে ঢুকেছি।’
আজমত উল্লা খান বলেন, ‘আমাকে দুটি চিঠি দেয়া হয়েছিল। তাতে যে ধারাগুলো উল্লেখ করা হয়েছিল, সে অনুযায়ী আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করেছি। একজন প্রার্থী হিসেবে শুধু নয়, দেশের নাগরিক হিসেবে একটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য আমার তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। নির্বাচনি আচরণ বিধি যেটা রয়েছে, এটা আমার কমিটমেন্ট যে এই আচরণ বিধি সম্পূর্ণ মেনে চলব। আমরা বক্তব্য ওনারা নিয়েছেন। তারপর যে সিদ্ধান্ত আসবে তা মাথা পেতে নেব।’
মন্ত্রীরা আপনার পক্ষে ভোট চাচ্ছেন- এমন বিষয় সাংবাদিকরা সামনে আনলে আজমত উল্লা খান বলেন, ‘আমি আমার অবস্থানটা তুলে ধরেছি। যে সভা ওনারা করেছেন সেটা হয়তো অজ্ঞতার কারণে হতে পারে। হতে পারে যে এটা যেহেতু সিটি করপোরেশনে বাইরে...। যাই হোক আমার অবস্থান সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। এখন নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।’
ভুলে এমনটা হয়েছে কি-না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘৭, ১১, ৫ ধারার যে কথা আপনারা বলছেন; যেহেতু মন্ত্রী সাহেব সভায় গেছেন সেটা ওনাকে যদি ডাকা হয় তাহলে ওনার ব্যাখ্যা উনি দেবেন।
‘আমার জ্ঞাতসারে আমি নির্বাচনি বিধিমালার কোনো লঙ্ঘন করিনি। আমি স্পষ্টভাবে কমিশনকে তা বলেছি। ভবিষ্যতে আচরণ বিধি ভঙ্গ করা হবে না সে প্রতিশ্রুতিও আমি দিয়েছি।’
আর কাউকে তলব করা হলো না, আপনি কেন আইন ভঙ্গ করলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে নৌকার এই প্রার্থী বলেন, ‘আমি আইন ভঙ্গ করিনি। আবারও বলছি- জ্ঞাতসারে আমার দ্বারা আইন, নিয়ম, নীতি ভঙ্গ করা হয়নি।’