নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বাবাকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় ছেলে আরমান শাহকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাত আটটার দিকে ময়মনসিংহের ভালুকা থানাধীন স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৩ বছর বয়সী গ্রেপ্তার আরমান শাহ নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের বড় বেথাম গ্রামের ৫৫ বছর বয়সী আবুল শাহর ছেলে।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত ১৮ মার্চ বিকেলে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন আবুল শাহ। পরে সন্দেহভাজন আশিকুর রহমান আবির নামের একজনকে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জানা যায়, আবুলকে হত্যা করা হয়েছে।’
আশিকুরের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২১ মার্চ ভোরে আবুল শাহর বাড়ির পাশের সাপমরা খাল থেকে গলা পর্যন্ত মাটির নিচে পুতে রাখা অবস্থায় আবুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সোহরাব শাহ বাদী হয়ে আরমানকে প্রধান আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে তার আগেই পালিয়ে যান আরমান।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আবুল শাহকে নিজ বাসায় গলাকেটে হত্যা করে ছেলে আরমান। পরে মরদেহ গুম করার জন্য সহযোগী আশিকুরকে ডেকে আনেন। পরবর্তীতে তারা মরদেহটি লুকানোর বিষয়ে গভীর রাত পর্যন্ত পরিকল্পনা করে। প্রথমে তারা মরদেহটি পুড়িয়ে ফেলা কিংবা দূরে কোথাও নিয়ে গিয়ে ফেলে দেয়ার কথা ভাবে। পরে লোকজন দেখে ফেলবে সেই চিন্তায় বাড়ির পাশের সাপমরা খালে কোদাল দিয়ে গর্ত করে গলা পর্যন্ত মাটির নিচে পুতে রাখে। এরপর মরদেহ পানিতে তলিয়ে যাওয়ার জন্য উপরের জমিতে জমে থাকা বৃষ্টির পানি খালে ছেড়ে দেয়া হয়।’
আরমানকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তবে হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।