গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা আচরণবিধি ভঙ্গ করলেও তার বিনয়ী বক্তব্যে অত্যন্ত সন্তুষ্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সিইসি বলেছেন, ‘আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। উনি (আজমত উল্লা) অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আমরা ওনার বক্তব্যে প্রাথমিকভাবে অত্যন্ত সন্তুষ্ট।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রোববার সশরীরে হাজির হয়ে আজমত উল্লা আচরণবিধি ভঙ্গ করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন।
আজমত উল্লা খান রোববার নির্বাচন কমিশনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার পর মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন সিইসি হাবিবুল আউয়াল। ছবি: নিউজবাংলা
সম্প্রতি পাঁচ সিটি ভোটের তফসিল ঘোষণা করে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে ভোট হবে ২৫ মে। এছাড়া খুলনা ও বরিশাল সিটিতে ১২ জুন এবং সিলেট ও রাজশাহী সিটিতে ২১ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
গাজীপুর সিটিতে নৌকার মেয়র প্রার্থী আচরণবিধি ভঙ্গ করার দায়ে তাকে দু’দফা চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। কেন তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না সে বিষয়ে জানতে তাকে ঢাকায় তলব করে ইসি৷
রোববার আজমত উল্লা ব্যাখ্যা দেয়ার পর কাজী হবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। উনি (আজমত উল্লা) অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। উনি বলেছেন, অজ্ঞতাবশত এ ধরনের কিছুটা ভুল হয়ে গেছে। দুই-একটা সভা হয়েছে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন এলাকার বাইরে।’
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা সিটি নির্বাচনে আচরণবিধির ৫ ধারার ব্যাপারে সচেতন ছিলেন না জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘শো-ডাউনের বিষয়টি আমরা বড় করে দেখেছিলাম। উনি বলেছেন, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার দিন বেশ কিছু সংখ্যক কাউন্সিলর দলবল নিয়ে এসেছেন। ফলে একটা শো-ডাউনের মতো মনে হয়েছে।
‘আমরা ওনার বক্তব্যে প্রাথমিকভাবে সন্তুষ্ট। উনি কমিশনকে সহযোগিতা করা ও নির্বাচনী আচরণবিধি যাতে ভবিষ্যতে প্রতিপালিত হয় সেই চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন। উনি সুন্দরভাবে ওনার বক্তব্য দিয়েছেন। সেই বক্তব্যটা আমরা বিবেচনা করে দেখব।’
সিইসি বলেন, ‘যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো উনি একজন লোকাল লিডার। অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এমনকি বলেছেন যে আমরা যদি মনে করি লিখিত দিতে হবে তাহলে সেটাও তিনি দিতে রাজি আছেন।’
এ বিষয়ে আর কোনো তদন্ত করবেন কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, এ বিষয়ে ফারদার তদন্ত করব না। আজমত উল্লা সার্বিক বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন- যদি আচরণ বিধি ভঙ্গ হয়ে থাকে সেজন্য তিনি দুঃখিত, অনুতপ্ত।’
মন্ত্রী-এমপিদের ভোট চাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘উনি বলেছেন যেখানে মন্ত্রী ছিলেন সেটা সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে। তারপরও ভবিষ্যতে যেন এরকম না হয় সেটা তিনি নিশ্চিত করবেন।’