বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে সাভারে টাইলসের কাজ করছিলেন ওরা

  • প্রতিনিধি, বগুড়া   
  • ৭ মে, ২০২৩ ১৬:৫৯

র‌্যাবের বগুড়া ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘টাকাপয়সা সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জের ধরে ঝন্টুকে বগুড়া সদরে হোটেলে নাশতা করার জন্য ডেকে নিয়ে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে সাভারের নবীনগরে পরিচয় গোপন রেখে টাইলসের কাজ করছিলেন।’

বগুড়ার সদরে হোটেলে নাশতা করার সময় যুবককে কুপিয়ে হত্যার ৮ মাস পর মামলার প্রধান আসামিসহ চারজন ধরা পড়েছে। ঢাকার সাভার থেকে শনিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে বগুড়ায় নিয়ে আসে র‌্যাব-১২।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন- বগুড়া সদরের ভাটকান্দি এলাকার মোমিনুর, কবির হোসেন, রবিউল ও বেজোড়া হিন্দুপাড়ার রানা।

গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ৯টার দিকে ভাটকান্দি এলাকার ওয়াজেদ হোসেন ঝন্টু নামে এক টাইলস মিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন মামলা করেন নিহতের বাবা আফজাল হোসেন প্রামানিক। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থাকার অভিযোগ ওঠে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে র‌্যাবের বগুড়া ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার নজরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গ্রেপ্তার চারজন নিহতের বন্ধু। তারা একসঙ্গে টাইলসের কাজ করতেন। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি হত্যার নেপথ্যে ছিল টাকা-পয়সা সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতা।

‘গ্রেপ্তার কবিরের কাছে প্রায় ২ লাখ টাকা পেতেন নিহত ঝণ্টু। এই টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে দু-একবার মারামারিও হয়েছিল। পরে কবির অন্য বন্ধুদের ঝন্টুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন।’

স্কোয়াড কমান্ডার বলেন, ‘এর ধারাবাহিকতায় ঝন্টুকে হোটেলে নাশতা করার জন্য ডেকে নিয়ে যান মোমিনুর হোসেন। সেখানে তাকে ছুরি দিয়ে মাথা, বুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে যান। তারা সাভারের নবীনগরে পরিচয় গোপন রেখে টাইলসের কাজ করছিলেন।

নজরুল ইসলাম জানান, এই হত্যা মামলা নিয়ে র‌্যাব দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। এতে ঢাকাস্থ র‌্যাব-৩ ও র‌্যাব-৪ সহযোগিতা করছে। শনিবার যৌথ অভিযানে এই চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হবে।

ঝন্টু হত্যা মামলায় আরও চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন আয়নাল, আব্দুর রহমান, আবুল কালাম ও সাইফুল। এ ছাড়া আরও ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করেন বাদী।

মামলার ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও এতোদিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি তদন্ত প্রতিবেদনও দেয়া হয়নি। প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন এসআই রাজিব হোসেন। তিনি বদলি হয়ে গেলে চলতি বছরের জানুয়ারিতে তদন্তের দায়িত্ব পান সদরের নারুলী ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মাহমুদ হাসান।

তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই মামলার সব আসামি পলাতক। কেউ জামিনও নেয়নি। মামলার চার্জশিট এখনও হয়নি। আমি এ বছরে তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি। যত দ্রুত সম্ভব চার্জশিট দেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর