কুমিল্লায় বোরকা পরে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে গুলি করে হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মোহাম্মদ পাশা কুমিল্লা নগরের শাকতলায় র্যাব অফিসে রোববার বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন মামলার ৩ নম্বর আসামি ৩৬ বছর বয়সী ইসমাইল হোসেন, ৪ নম্বর আসামি ৪৬ বছর বয়সী সোহেল শিকদার ও ৭ নম্বর আসামি ৩৮ বছর বয়সী মো. শাহ আলম।
গত কয়েক দিনের অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা পাশা জানান, এজাহারভুক্ত পাঁচজন বিদেশে পালিয়ে গেছেন। এদের মধ্যে গুলি করা আসামিরা রয়েছেন। নেপাল, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে তারা আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কেউ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেননি। যারা গুলি করেছেন, তাদের শনাক্ত করা হয়েছে, তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
অভিযুক্তদের ব্যবহার করা বোরকা উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে বোরকা পরে বের হত্যার উদ্দেশ্যে বের হন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্র্ণ লিডার মনিরুল ইসলাম, র্যাব-১১-এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাকিব হোসেনসহ অনেকে।
কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরিপুর বাজারে ৩০ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেনকে হত্যা করা হয়।
তিনজন ব্যক্তি বোরকা পরে তাকে গুলি করে হত্যা করেন।
জামাল হোসেন তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
তিতাস উপজেলায় বাড়ি হলেও তিনি ব্যবসা করতেন পাশের দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর বাজারে। বাজারের পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
এর আগেও তিতাস উপজেলায় রাজনৈতিক ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে তিতাস ও দাউদকান্দির গৌরিপুর বাজারে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।