বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবি ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে মুগ্ধ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা  

  • প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়    
  • ৭ মে, ২০২৩ ১২:১০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘ছাত্রলীগের সৃষ্টির লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়া। এখনও ছাত্রলীগ এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সামনের দিনগুলোতেও স্মার্ট ক্যাম্পাস বিনির্মাণে কাজ করে যাব।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবি ছাত্রলীগ কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচিতে মুগ্ধ হয়েছেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা অভিভাবকরা।

ছাত্রলীগের কারণে অনেক পরীক্ষার্থী ঠিক সময়ে পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে পেরেছেন। ছাত্রলীগ সবসময় এমন ইতিবাচক কাজ বজায় রাখবে বলে প্রত্যাশা অভিভাবকদের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ছাত্রলীগের গৃহীত কর্মসূচিগুলো হলো শিক্ষার্থী সহায়তা ও তথ্য কেন্দ্র, জয় বাংলা বাইক সার্ভিস, বিনা মূল্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা, অভিভাবকদের বিশ্রাম কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য হুইলচেয়ার ও প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সরবরাহ কেন্দ্র, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র ও মোবাইল টয়লেট।

ছাত্রলীগ ছাড়াও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং সামাজিক সংগঠনসমূহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থী সহায়তা ও তথ্য কেন্দ্র বসিয়েছে। এসব সহায়তা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহায়তা করার পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে নেয়ার অনুপযোগী জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

শনিবার অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা অনেক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের জয় বাংলা বাইক সার্ভিসের কারণে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ঠিক সময়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছাতে পেরেছেন। ক্যাম্পাসের বাইশটি পয়েন্টে বসানো ছাত্রলীগের শিক্ষার্থী সহায়তা ও তথ্য কেন্দ্র ছাড়াও শাহবাগ, নীলক্ষেত, দোয়েল চত্বর আর পলাশী মোড়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাইক নিয়ে শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে নিয়োজিত ছিলেন।

পরীক্ষা শুরু হবে এগারোটা থেকে। দশটা সতের মিনিটে এক পরীক্ষার্থী তার সিটপ্ল্যান না দেখে ভুলক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন কেন্দ্রে চলে আসেন। পরে সেখানে থাকা ছাত্রলীগ কর্মীরা অনলাইনে চেক করে দেখেন এই শিক্ষার্থীর পরীক্ষার কেন্দ্র সরকারি বাংলা কলেজ। তৎক্ষণিকভাবে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ আমজাদ বাইকে করে সেই শিক্ষার্থী এবং তার অভিভাবককে নিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছে দেন। তখনও পরীক্ষা শুরু হতে কিছু সময় বাকি ছিল।

এই বিষয়ে মাসুদ আমজাদ বলেন, ‘সময়মতো তাকে পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছাতে পেরেছি, এইটাই স্বার্থকতা। স্মার্ট বাংলাদেশে বিনির্মাণে স্মার্ট ছাত্রলীগের কর্মী হতে পেরে আমি গর্বিত।’

আরেক পরীক্ষার্থীর সিট পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে। সেখানে থাকা ছাত্রলীগের হেল্প ডেস্কে উপস্থিত হয়ে সেই পরীক্ষার্থী জানান, তারা বাসা কদমতলী। ভুলক্রমে তিনি এইচএসসির রেজিস্ট্রেশন এবং এডমিট কার্ড ফেলে এসেছেন। কিন্তু হাতে সময় ছিল দেড় ঘণ্টা। এতে ওই পরীক্ষার্থী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

পরে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিক হাসান মিয়া তাকে বাইকে করে তার বাসায় নিয়ে যান এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আবার ফিরে আসেন। তখনও পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট বাকি ছিল। ঠিক সময়ে কেন্দ্রে আসতে পেরে ওই শিক্ষার্থী বার বার ছাত্রলীগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

এ ছাড়া সন্তানদের পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকিয়ে দিয়ে বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকতে বা মাটিতে বসে থাকতে হতো অভিভাবককে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জন্য বসার ব্যবস্থা ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে সেই কষ্ট দূর করে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

অভিভাবকদের হাতে পানি পৌঁছিয়ে দিয়ে তাদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করতে দেখা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে।

বন্ধের দিন পরীক্ষা পড়ায় ক্যাম্পাসের অনেক স্থাপনায় থাকা টয়লেটগুলোতে যেতে পারছেন না শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা। তাদের জন্য মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা করেও প্রশংসায় ভাসছেন ঢাবি ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগের সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। মোহাম্মদপুর থেকে আসা এক অভিভাবক বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রলীগ যেসব সেবা দিচ্ছে সেসবে সন্তুষ্ট না হয়ে উপায় নেই। তাদের আন্তরিকতা আমার ভালো লেগেছে। এমন কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখুক ছাত্রলীগ।’

মোবাইল টয়লেটের সামনে লাইনে দাঁড়ানো এক অভিভাবক এসেছেন কল্যাণপুর থেকে।

তিনি বলেন, ‘অনেক খুঁজছি। কোথাও টয়লেট পাচ্ছিলাম না। পরে আমাকে ছাত্রলীগের এক সদস্য এই টয়লেটের সন্ধান দেন। এটা তো জরুরি কাজ। শুধু এই মোবাইল টয়লেটই নয় তারা আমাদের জন্য পানি এবং বসার ব্যবস্থাও রেখেছেন। এমন ছাত্রলীগই আমরা প্রত্যাশা করি।’

এসব কর্মসূচির বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘ছাত্রলীগের সৃষ্টির লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়া। এখনও ছাত্রলীগ এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সামনের দিনগুলোতেও স্মার্ট ক্যাম্পাস বিনির্মাণে কাজ করে যাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘অভিভাবকদের আমরা এতটুকু আশ্বস্ত করতে চাই যেখানে ছাত্রলীগ রয়েছে সেখানে সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে তাদের অনিশ্চয়তায় ভুগতে হবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর