বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার দেশে ফেরার দিন আজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৭ মে, ২০২৩ ০০:১০

এক এগারোর শুরুর দিকে কানের জরুরি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু তাকে দেশে আসতে না দেয়ার জন্য তদানীন্তন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

এক এগারোর সময়ে দেশে ফেরার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চরম ঝুঁকি নিয়ে আজকের দিনে দেশে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘোষিত জরুরি অবস্থা চলাকালীন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শেষে শত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে ২০০৭ সালের ৭মে বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি।

এক এগারোর শুরুর দিকে কানের জরুরি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু তাকে দেশে আসতে না দেয়ার জন্য তদানীন্তন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বঙ্গবন্ধুকন্যা তৎকালীন সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশে ফেরার ঘোষণা দেন। তার এ ঘোষণা দেশে-বিদেশে ইতিবাচক সাড়া ফেলে। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পক্ষে জনমত গড়ে ওঠে। তার ঐকান্তিক দৃঢ়তা, সাহস ও গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর চাপে তদানীন্তন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য হয়।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনের ইতিহাসে ৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মূলনীতি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে তিনি এদেশের রাজনীতিতে অবিকল্প নেতৃত্ব।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আজকের এই দিনে শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে প্রার্থনা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিষেধাজ্ঞা নাটকের অবসান শেষে শেখ হাসিনা ঢাকায় ফিরলে লাখো জনতা তাকে সাদর অভ্যর্থনা জানায়। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে মিছিল শোভাযাত্রা সহকারে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে নিয়ে আসে। দেশে ফিরে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি। শুরু করেন নতুন সংগ্রাম। কিন্তু তার বিরুদ্ধে শুরু হয় নতুন ষড়যন্ত্র। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভীতসন্তস্ত্র হয়ে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার করে। ২০০৮ সালের ১১ জুন প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে কারান্তরীণ রাখা হয়। প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা শেষে ৪ ডিসেম্বর স্বদেশে ফিরে আসেন তিনি। গণতন্ত্রের জন্য তার সংগ্রাম চলতে থাকে। শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ব্যাপক আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। আন্দোলনের মুখে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতায় চেপে বসা তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। সংকটের আবর্তে নিমজ্জিত দেশকে দূরদর্শী নেতৃত্বে এগিয়ে নিতে থাকেন তিনি। তার উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গড়ে তোলার প্রত্যয়ে আজ দিন বদলের অভিযাত্রায় উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

এ বিভাগের আরো খবর