বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অন্ধকার হাসপাতালে মোবাইলের আলোতে চলছে সেবা

  • প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ (গজারিয়া)   
  • ৬ মে, ২০২৩ ২১:৩৭

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, ‘তেলের অভাবে জেনারেটর চালানো যাচ্ছে না। সরকার থেকে যে পরিমাণ তেল দেওয়া হয়, তা দিয়ে অল্প কয়েকদিন জেনারেটর চালানো যায়।’

দুর্ঘটনায় আহত হয়ে একের পর এক রোগী আসছেন হাসপাতালে। তবে লোডশেডিংয়ের কারণে মোবাইলের আলো দিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা।

শনিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘটা একটি দুর্ঘটনার পর গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।

হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আশরাফুল ইসলাম শুভ তার হাতের মোবাইলের টর্চ দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা করছেন। মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে আরও কয়েকজন।

ডা. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আহতদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। লোডশেডিং থাকায় হাসপাতালে আলো নেই। হাসপাতালের জেনারেটার কি কারণে বন্ধ, তাও জানা নেই।

ওই সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে মোট ১০জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হলেন-৩০ বছর বয়সী শাহপরা, ৪০ বছর বয়সী সোহাগ, ‍ু৩২ বছর বয়সী আলতাফ হোসেন, ২৯ বছরের জামিল, ৩০ বছরের নীরব, ২৫ বছরের আরাফাত, ২৭ বছর বয়সী সুমন, ৪০ বছর বয়সী আরিফুল হক, ৩২ বছর বয়সী রাশেদ ও ৪০ বছরের আমির হোসেন।

আহতদের সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ডা. আশরাফুল।

এদিকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের মধ্যে কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, আহতরা সবাই নারায়ণগঞ্জের আদমজী এলাকার বাসিন্দা। তারা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে খাবার বিতরণের কাজ কাজ করেন।

শনিবার কুমিল্লার গৌরীপুর এলাকার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে দায়িত্ব পালন শেষে পিকআপ ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। পথিমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া পাখির মোড় এলাকায় মেঘনা-গোমতী সেতুর ঢালে আসলে তাদের পিকআপ ভ্যানটিকে পেছন থেকে একটি মিনিবাস ধাক্কা দিলে পিকআপটি উল্টে গিয়ে চালকসহ আরোহীরা সবাই আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোবাশ্বেরা বিনতে আলম এ বিষয়ে বলেন, ‘হাসপাতালের পাশে বৈদ্যুতিক তারের ওপর একটি গাছ ভেঙে পড়ায় হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। তেলের অভাবে জেনারেটর চালানো যাচ্ছে না। সরকার থেকে যে পরিমাণ তেল দেয়া হয়, তা দিয়ে অল্প কয়েকদিন জেনারেটর চালানো যায়।’

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, ‘তেলের অভাবে জেনারেটর চালানো যাচ্ছে না। সরকার থেকে যে পরিমাণ তেল দেয়া হয়, তা দিয়ে অল্প কয়েকদিন জেনারেটর চালানো যায়।’

এ বিভাগের আরো খবর