বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক চক্রের হাতে অপহৃত ৫ শতাধিক শিশু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৬ মে, ২০২৩ ১৪:৪২

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে স্কুল, বাজার, রেস্তোরাঁসহ নানা জায়গায় একা থাকা ও বাবা মায়ের সঙ্গে ঘুরতে থাকা শিশুদের টার্গেট করে কৌশলে অপহরণ করে তাদের পরিবারের কাছ থেকে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা মুক্তিপণ আদায় করে আসছিলেন।

অপহরণকারী একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগ জানিয়েছে, চক্রটি স্কুল, মার্কেট, কোচিং কিংবা মাদ্রাসার সামনে ওত পেতে সখ্য তৈরি করে শিশুদের অপহরণ করত।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন মিল্টন মাসুদ, শাহীনুর রহমান ও সুফিয়া বেগম। তাদের মধ্যে মিল্টন হোতা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে শনিবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোর্শেদ আলম।

তিনি জানান, গত ২৪ মার্চ রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের হলি ল্যাবের সামনে থেকে ৬ বছরের শিশু শাহিন শেখ হারিয়ে গেলে এ সংক্রান্ত একটি জিডি করা হয় উত্তরা পূর্ব থানায়। জিডি তদন্তের সূত্র ধরে প্রথমে অপহরণকারী চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। উত্তরা এয়ারপোর্ট জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে উত্তরা পূর্ব থানার একটি টিম তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের শনাক্তের পর অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে স্কুল, বাজার, রেস্তোরাঁসহ নানা জায়গায় একা থাকা ও বাবা মায়ের সঙ্গে ঘুরতে থাকা শিশুদের টার্গেট করে কৌশলে অপহরণ করে তাদের পরিবারের কাছ থেকে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা মুক্তিপণ আদায় করে আসছিলেন।

উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মোর্শেদ আলম বলেন, চক্রের হোতা মিল্টন ও তার সহযোগী শাহীনুর ছয় থেকে সাত বছর ধরে ৫০০ থেকে ৬০০ শিশুকে অপহরণ এবং তাদের আত্মীয়দের কাছ থেকে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিতেন। টার্গেট করা শিশুকে তার বাবা-মায়ের বন্ধু কিংবা ব্যবসায়িক পার্টনার পরিচয়ে কথা বলার একপর্যায়ে তাদের মা-বাবার আর্থিক অবস্থা কৌশলে জেনে নিতেন চক্রের সদস্যরা। এরপর শিশুর মা-বাবা টাকা পাবেন বলে কল করতে বলা হতো তাদের কাছে। সেই কৌশলে নম্বর নিয়ে শিশুটির মা-বাবাকে ফোন করে সন্তান অপহরণ হয়েছে জানিয়ে টাকা দাবি করতেন তারা।

তিনি বলেন, বাবা-মা ভয়ে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা দিতেন অপহরণকারীদের। টাকা দেয়ার কিছু সময় পরে দেখা যায়, অপহৃত শিশুটি বাসায় ফিরে এসেছে। কোনো বাবা-মা যদি টাকা নাও দিতে পারেন, তবুও তাদের সন্তান ফেরত চলে এসেছে বলে কয়েকটি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গ্রেপ্তার মিল্টন মাসুদের নামে পাঁচটি এবং শাহীনুর রহমানের নামে তিনটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর